ওয়েব ডেস্ক: শক্তিশালী ভূমিকম্প (Earthquake) এবং তারপর একাধিক আফটারশকে (Aftershock) লণ্ডভণ্ড মায়ানমার (Myanmar)। ভেঙে পড়েছে অনেক বহুতল, সেতু, ঘরবাড়ি। দেশজুড়ে নেমে এসেছে তীব্র বিপর্যয়। শুক্রবার সকালে রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর পরই ৬.৭ মাত্রার আফটারশক আঘাত হানে সেখানে। সূত্রের খবর, পরবর্তী ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১৪টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে এবং শনিবারও বেশ কয়েকবার মৃদু কম্পন হয়েছে। এর ফলে দেশটির বড় অংশ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু এই বিপর্যয় এক্ষুণি শেষ হচ্ছে না। আমেরিকার ভূবিজ্ঞানী জেস ফিনিক্স ইতিমধ্যে সতর্ক করে বলেছেন যে, ভূমিকম্পের ফলে বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়েছে, যা ৩৩৪টি পরমাণু বোমার সমান। ভূমিকম্পের মূল কারণ হিসেবে তিনি ভারতীয় ও ইউরেশিয় পাতের সংঘর্ষকে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর মতে, সংঘর্ষ এখনও চলছে। ফলে আগামী কয়েক মাস ধরে মায়ানমার এবং সংলগ্ন এলাকায় একাধিকবার আফটারশক হতে পারে।
আরও পড়ুন: মায়ানমারে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’! উদ্ধারকাজে কী কী সাহায্য ভারতের?
কিন্তু এতেই যা অবস্থা, পরবর্তী বিপর্যয় কীভাবে মোকাবিলা করবে মায়ানমার? এই প্রশ্নটা সময়ে সময়ে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত ১,৬৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের বেশি। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের অনুমান, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এওবে এই ভূমিকম্পের প্রভাব শুধু মায়ানমারেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এর প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। রাজধানী ব্যাংককে ৩০ তলার একটি বহুতল ধসে পড়েছে। সেখানে বহু শ্রমিক আটকে পড়েন। এখনও পর্যন্ত ব্যাংকক প্রশাসন ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে, নিখোঁজ রয়েছেন ৭০ জনের বেশি।
দেখুন আরও খবর: