ওয়েব ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar)। ইতিমধ্যে ব্রহ্মদেশের এই বিপর্যয়কে ‘উচ্চ মাত্রার জরুরি পরিস্থিতি’ বলে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, WHO। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারকে রক্ষা করতে এবং এই সময়ে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অন্তত ৮০ লক্ষ ডলার সাহায্যের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে হু। দ্রুত আর্থিক সহায়তা না মিললে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলেও সতর্ক করেছে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা।
ইতিমধ্যে ভারত (India), চীন (China), মালয়েশিয়া (Malaysia) সহ একাধিক দেশ মায়ানমারে সাহায্য পাঠিয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বিমান পাঠিয়েছে ইয়াঙ্গনে। চীন থেকেও ১২৬ জনের উদ্ধারকারী দল, প্রশিক্ষিত কুকুর, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী মায়ানমারে পৌঁছে গিয়েছে। পাশাপাশি, বেজিং প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে। রাশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম থেকেও সহায়তা পাঠানো হয়েছে ইয়াঙ্গনে।
আরও পড়ুন: মায়ানমারের পর টোঙ্গায় ভূমিকম্প, জারি সুনামির সতর্কতা
কিন্তু এই অবস্থায় বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ, আমেরিকার (USA) তরফ থেকে এখনও কোনও সরাসরি সাহায্য পৌঁছয়নি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও, তিন দিন পরও মার্কিন উদ্ধারকারী দল মায়ানমারে পৌঁছয়নি। কোনও অর্থসাহায্যও পাঠানো হয়নি। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ তহবিল কমানোর যে নীতি ট্রাম্প গ্রহণ করেছেন, তার প্রভাবই হয়তো মায়ানমারের সাহায্যের ক্ষেত্রেও পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রথমে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। তারপর একাধিক পরবর্তী কম্পনে আরও বিধ্বস্ত হয় দেশটি। সামরিক জুন্টা সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে বহু মানুষ। মার্কিন জিয়োলজিক্যাল সার্ভের আশঙ্কা, মায়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
দেখুন আরও খবর: