ওয়েব ডেস্ক : ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। সেই মতো পদক্ষেপ করল নবান্ন (Nabanna)। বৃহস্পতিবার ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করে দিল রাজ্য সরকার। তবে এফআইআর নয়, বরং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, চার আধিকারিকের পাশাপাশি ২ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে তাদের কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী বছরে অর্থাৎ ২০২৬ সালে বাংলায় হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। সেই মতো রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া। তবে এই সংশোধন চলাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল চার আধিকরিকের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তারা নিজস্ব লগ ইন আইডি ব্যবহার না করে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর দিয়ে কাজ করিয়েছেন।
আরও খবর : মুখে চওড়া হাসি, পদক ফিরে পেয়ে কী বললেন বুলা চৌধুরী?
এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই কমিশন গত ৮ অগাস্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দেন, যাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আপত্তি তুলেছিলেন।
তবে রাজ্য সরকার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। তবে সেখানে গিয়ে মনোজ পন্থ জানিয়েছিলেন, ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে ২১ অগাস্টের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো আজ ময়না ও বারুইপুরে পূর্বের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করল রাজ্য সরকার।
দেখুন অন্য খবর :