Wednesday, August 27, 2025
HomeScrollমেদিনীপুর স্যালাইন কাণ্ডে আগামীকাল শুনানি হাইকোর্টে, কেস ডায়েরি তলব

মেদিনীপুর স্যালাইন কাণ্ডে আগামীকাল শুনানি হাইকোর্টে, কেস ডায়েরি তলব

কলকাতা: মেদিনীপুর হাসপাতালে (Midnipur Saline case) এক প্রসূতির মৃত্যু ও অন্তঃসত্ত্বার অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টের দরজায় (Hearing High Court)। অভিযোগ উঠেছে স্যালাইন কাণ্ড ধামাচাপা দিতেই ডাক্তারদের ঘাড়ে দায় চাপানো হচ্ছে।

এই মামলা উঠল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) এজলাসে। MD অ্যানাস্থিস্ট ডাক্তার মামলাকারীর আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় (Lawyer Jayant Narayan Chatterjee)  জানিয়েছেন, ওই অ্যানাস্থিস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এখনও সেই এফআইআর কপি আপলোড করা হয়নি।  অথচ তাকে নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছে।

বিচারপতি রাজ্য সরকারের আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন, কেন পুলিশ এখনও FIR আপলোড করেনি?

জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, আজ সকাল পর্যন্ত আপলোড হয়নি।

আরও পড়ুন: এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে বাংলার ট্যাবলো

বিচারপতির নির্দেশ আজই FIR কপি দিতে হবে মামলাকারীকে। আজ কোনও রিপোর্ট দেখব না।  আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৪ টায় ফের শুনানি। কেস ডায়রি (Case Diary Summoned) হাজির করতে হবে আদালতে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং আরও চার প্রসূতির গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্য়ালাইন থেকে সংক্রমণের কারণেই, প্রসবের পরদিনই মৃত্য়ু হয় মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজে ভর্তি থাকা প্রসূতি মামণি রুইদাসের। তিনি চন্দ্রকোণার বাসিন্দা ছিলেন। সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মামণি।

পরিবারের অভিযোগ, স্য়ালাইন দেওয়ার পরই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরের দিনই মৃত্য়ু হয়। রিপোর্টে বলা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্য়াস’ নামে ওই কোম্পানির স্য়ালাইন ব্য়বহারের ফলেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রক্তক্ষরণ বন্ধে ব্য়বহার করা হয় ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন’। সেই ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনে’র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। এদিকে এই ঘটনায় হাসপাতালকেই কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক থেকে  হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেন তিনি।

এই ঘটনায় হাসপাতালে আরএমও, এমএসভিপি-র সিনিয়র চিকিৎসক এবং জুনিয়র চিকিৎসক মিলিয়ে একসঙ্গে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার৷

দেখুন অন্য খবর-

Read More

Latest News