ওয়েব ডেস্ক: যমুনার পাড়ে পদ্ম ফুটবে না কি ঝাড়ুর শাসন চলবে? কাল, শনিবার সারা দেশের নজর থাকবে রাজধানীতে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Assembly Election) ফল ঘোষণা। সকাল ৮টা থেকে গণনা (Counting) শুরু। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় গত বুধবার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট পড়ে ৬০.৪২ শতাংশ। ২০১৫ সাল থেকে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) সরকার। এক্সিট পোলে (Exit Poll) হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত। তবে অনেকেই বিজেপিকে এগিয়ে রেযেছে। গত দুবার বিধানসভায় কংগ্রেস শূন্য ছিল। এবার খাতা খুলতে পারলেও ছাপ রাখতে পারবে না বলে ইঙ্গিত বুথ ফেরত সমীক্ষায়। শে হাসি কে হাসবে তার জন্য দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নজরে রয়েছে নয়াদিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কালকাজিতে আতিশী আসন।
শুক্রবার আপের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক কিনতে ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে। ঘটনায় লেফটেন্যান্স গভর্নর ভিকে সাক্সেনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কারণ না দর্শিয়ে গ্রেফতারি অবৈধ, সংবিধান লঙ্ঘনে অবশ্যই জামিন: সুপ্রিম কোর্ট
দিল্লিতে ২৭ বছর পর ডাবল ইঞ্জিন সরকার গড়তে চায় বিজেপি। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জমি শক্ত করার লড়াইও এটি। নির্বাচনের আগে বেশিরভাগ সমীক্ষায় আপ পার্টিরই ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত মিলেছিল। তবে ভোট পরবর্তী বুথ ফেরত সমীক্ষায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দাবি করা হয় বিজেপির পাল্লা ভারী। আন্না হাজারের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচিতি পান কেজরিওয়াল। তাঁকেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল। এবারের বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল দুর্নীতি। আপের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে বিজেপি ফাঁসিয়েছে। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে খয়রাতির রাজনীতির উপরেই জোর দেয়। ভোটে মূল লড়াই বিজেপি ও আপের মধ্যে।
দেখুন অন্য খবর: