Wednesday, August 27, 2025
HomeScrollমহিলারাও কি ‘নাগা সাধু’ হতে পারেন?

মহিলারাও কি ‘নাগা সাধু’ হতে পারেন?

ওয়েব ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) অলংকার বলা হয় নাগা সন্ন্যাসীদের (Naga Sadhu)। পার্থিব লজ্জা ত্যাগ করে কোনওরকমের পোশাক না পরে তাঁরা ইশ্বরের উপাসনা করেন। শরীরের উপর ছাইভষ্মের মোটা আস্তরণ, মাথায় আস্ত এক জটা। হ্যাঁ, একজন নাগা সাধুর অবয়ব সম্পর্কে বললে এটুকুই। কিন্তু মহিলারাও কি নাগা সন্ন্যাসী (Female Naga Sadhu) হতে পারেন? এবারের কুম্ভমেলার কয়েকটি ভিডিও (Viral Video) দেখলে হয়তো আপনার মনেও এই প্রশ্ন জাগবে। কারণ, পার্থিব সুখ, মায়া ও লজ্জা ত্যাগ করে এক মহিলা সন্ন্যাসিনীকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে কুম্ভের বুকে।

এই সন্ন্যাসিনীর বেশ কিছু ভিডিও সামনে এসেছে। এইসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই সন্ন্যাসিনী পোশাক না পরে কখনও গঙ্গার ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কখনও বসে আছেন হাতে মোবাইল নিয়ে, আবার কখনও তাঁকে দেখা যাচ্ছে মন্দিরে পুজো করতে। শরীরে ছাইভষ্ম মেখে আবার তাঁকে ধ্যান করতেও দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজের (Prayagraj) মহাকুম্ভে। এই বিষ্ময় সাধিকা ইতিমধ্যে নজর কেড়েছেন গোটা দেশের। কিন্তু মহিলারা কীভাবে নাগা সন্ন্যাসিনী হতে পারেন? চলুন এই সম্পর্কে এবার জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন: সত্যিই সন্ন্যাসিনী নাকি সবই ঢং? চিনে নিন কুম্ভের সাধ্বী হর্ষাকে

আসলে নাগা সন্ন্যাসীদের ইতিহাস ভারতীয় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরম্পরার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। মনে করা হয়, তাঁদের উৎপত্তি মূলত আদি শংকরাচার্যের (Adi Shankaracharya) সময়। মহিলা নাগা সন্ন্যাসীরা প্রাচীনকাল থেকেই এই সম্প্রদায়ের অংশ হয়ে আছেন। যদিও সমাজে পুরুষ নাগা সন্ন্যাসীরা বেশি পরিচিত, তবে মহিলা সন্ন্যাসীরাও কঠোর তপস্যা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে এই পথ বেছে নেন।

মহিলা নাগা সাধুরা সাধারণত মঠে বা আশ্রমে বাস করেন এবং যোগ, ধ্যান, এবং বেদ পাঠে তাদের দিন কাটান। শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তার মাধ্যমে তারা আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করেন। তাঁদের জীবনধারায় রয়েছে কৃচ্ছ্রসাধন ও সম্পূর্ণ নিরাসক্তি। তবে মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের জীবন খুব সহজ নয়। তারা একদিকে যেমন কঠোর সাধনা করেন, তেমনই অন্যদিকে সমাজের অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হন। কিন্তু তাদের আধ্যাত্মিকতা, সংকল্প, এবং দৃঢ় বিশ্বাস তাদের এই পথচলায় অনুপ্রাণিত করে।

দেখুন আরও খবর: 

Read More

Latest News