নয়াদিল্লি: সরকারি জমিতে সরকারি অর্থে দলীয় প্রতীক ও নেতা-নেত্রীদের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন (ECI)। সেই নিষেধাজ্ঞায় সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বহুজন সমাজ পার্টির (BSP) দলীয় প্রতীক হাতি, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী (Mayavati) এবং তাঁর গুরু কাঁসিরামের মূর্তি লখনউ (Lucknow) ও নয়ডায় (Noida) করদাতাদের অর্থে গড়ে তোলার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার নিষ্পত্তি করতে গিয়ে এই নির্দেশ আদালতের।
শুধু বিএসপি নয়, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে এই নির্দেশ মেনে চলার বিধান বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার।
বিএসপি দাবি করেছিল, জনগণের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে, রাজ্যের আইনসভার অনুমোদন নিয়ে ওইসব মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। দেশের ঐতিহ্যময় বহু সৌধে এই হাতির মূর্তি রয়েছে। তাই হাতির মূর্তি নির্মাণ কেবল বিএসপির প্রতীকের প্রচার নয়।
আরও পড়ুন: AAP-এর পোস্টারে জায়গা পেলেন ‘অসৎ’ মোদি-রাহুল
মামলাকারী পাল্টা দাবি করে বলেন, লখনউয়ের গোমতীনগরে বিস্তীর্ণ সরকারি জমির উপর ৫২.২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯০টি বিশাল আকারের গোলাপি পাথরের হাতির মূর্তি সরকারি খরচে বানানো হয়। দলের দুই নেতা-নেত্রীর মূর্তিও স্থাপিত। আর এর সবই নির্মিত সরকারি জমির উপর। যা স্থায়ীভাবে দলীয় দখলে রাখার ব্যবস্থা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
উল্লেখ্য, এই একই মামলাকারী প্রথমে বিষয়টি উত্থাপন করেন নির্বাচন কমিশনে। সেখানে সাড়া না পেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসরণে ২০১৬ সালে কমিশনের সম্পর্কিত গাইডলাইন প্রকাশ।
এখন থেকে কোনও রাজনৈতিক দল সরকারি অর্থ ব্যবহার করে, সরকারি জমিতে, প্রশাসনিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এমন কিছু করতে পারবে না, যা কোনও রাজনৈতিক দলের বা প্রতীকের বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রতিফলিত হবে। ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবরে জারি কমিশনের এই নির্দেশিকা দেশের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে মেনে চলার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
দেখুন অন্য খবর: