ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষায় সংস্কার করে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির বাস্তবায়ন নিয়ে ঢক্কা নিনাদ কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই সময় উচ্চশিক্ষার এক কঙ্কালসার চেহারা সামনে এল। দেশে কোনও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান কীরকম, সার্বিকভাবে কতটা কৃতিত্ব অর্জন করেছে তার নির্ভরযোগ্য মূল্যায়ন করে ন্যাক। শিক্ষা মন্ত্রকের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে ন্যাক বা ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (NAAC) একটি স্বশাসিত সংস্থা। ন্যাকের টিম পরিদর্শন করে রিপোর্ট পেশ করে। তারপরে সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ন্যাকও গত বছর নবকলেবরে সাজানো হয়েছে। এবার সেই ন্যাকের পরিদর্শক টিমের চেয়ারম্যান সহ সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষের পরিবর্তে সুবিধা পাইয়ে দিতে রফার অভিযোগ উঠল। এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই (CBI)। ঘটনায় দিল্লির খ্যাতনামা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) এক অধ্যাপক সহ ১০ জন গ্রেফতার। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে ভদ্দেশ্বরমে কেএলইএফ (KLEF) নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ন্যাকের পুনরায় স্বীকৃতি দেওয়া সংক্রান্ত সুবিধা পাইয়ে দিতে ঘুষের (Bribe) রফার অভিযোগ।
সিবিআই সূত্রে দাবি, কোনেরু লক্ষ্মীমাইযা এডুকেশন ফাউন্ডেশনের (কেএলইএফ)পক্ষ থেকে ওই টিমের সদস্য জেএনইউ-র অধ্যাপকের মাধ্যমে রফা করা হয়। টিমের প্রত্যেক সদস্যকে তিন লাখ করে টাকা ও একটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হবে বলে রফা হয়। কমিটির চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলা হয়। শুধু তাই নয় টিমের এক সদস্যের স্ত্রীর একটি জায়গার পরিবহণ খরচ সামলানোর রফাও হয়। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেএলইএফের উপাচার্য জিপি সারধি ভার্মা, রামচন্দ্র চন্দ্রবংশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙালি উপাচার্য সমরেন্দ্রনাথ সাহা, জেএনইউ-র অধ্যাপক রাজীব শ্রীজারিয়াও। এফআইআরে ১৪ জনের নাম রয়েছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসায় জড়িত মুখ্যমন্ত্রী! অডিও ক্লিপ তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
অভিযোগ, গত ২৫ জানুয়ারি কেএলইএফের পক্ষে কোনেরু রাজা হারিন ও রামকৃষ্ণ নামে দুজন দিল্লিতে অধ্যাপক শ্রীজারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ন্যাকের ভালো রিপোর্ট যাতে দেওয়া হয় সেজন্য তাঁরা ওই জেএনইউর অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলেন। তাতে মোট ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। ২৬ জানুয়ারি ওই অধ্যাপককে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়াও হয় বলে দাবি। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেলইএফ বা যেসব শিক্ষাবিদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
দেখুন অন্য খবর: