লখনউ: সামনে দাঁড়িয়ে দুই মহিলা (Two Women)। দুজনের সিঁথিই সিঁদুরে রাঙা। একে অপরকে বিয়ে (Marriage) করেছেন দুই মহিলা। কেন সমাজকে চ্যালেঞ্জ করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন দুজনে তা অবশ্যই প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিচ্ছে। কিন্তু দুই মহিলার কথায় আর তাদের কিছু করার ছিল না।
স্বামীরা মাদকাসক্ত, মদ্যপ। প্রতিদিন অশান্তি। বাড়িতে প্রতিদিনই চলত অত্যাচার। দিন দিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল জীবন। তাই এই সিদ্ধান্ত। উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradeh) গোরক্ষপুরের (Gorakhpur) বাসিন্দা কবিতা (Kavita) এবং গুঞ্জা (Gunja) । গোরখপুরের দেওরিয়ার ছোট কাশী শিব মন্দিরে বিয়ে সারেন দু’জনে। এক সঙ্গে সাতপাক ঘুরলেন, একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন: লিভ ইন সম্পর্কেও নিয়মবিধি থাকা উচিত, অভিমত ইলাহাবাদ হাইকোর্টের
নবদম্পতি জানিয়েছেন, দু’জনের আলাপ ইনস্টাগ্রামে। দু’জনের স্বামীই মাদকাসক্ত। মদ খেয়ে রোজ স্ত্রীদের মারধর করত। পারিবারিক পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হত। দুজনেই এই ধরনের জীবন থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছিলেন। ক্রমশই সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে কবিতা ও গুঞ্জার। দীর্ঘ ছ’বছর এভাবে চলার পর একে অপরকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। গোরক্ষপুরের ছোটা কাশী মন্দিরে গিয়ে কবিতার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন গুঞ্জা। সাতপাকে ঘুরে মালাবদলও করেন।
মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন, দুই মহিলা নিজেদের মতো মন্দিরে এসেছিলেন। নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে ধীরেসুস্থে আবার মন্দির থেকে চলে যান তারা।
তবে কবিতা ও গুঞ্জার কোনও থাকার পাকাপাকি জায়গা নেই। আপাতত বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুজনে। বাকি জীবনটা একসঙ্গে থাকতে চান। মুক্তির আশায় এই জীবন বেছে নেওয়া কবিতা ও গুঞ্জার সম্পর্ক কি মেনে নেবে এই সমাজ, সেই কথা ভবিষ্যত বলবে। আপাতত দুজনে একটু শান্তি খুঁজতে একে অপরের হাত ধরেছেন।
দেখুন অন্য খবর-