Wednesday, November 12, 2025
HomeScroll২৮ দিন ধরে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’! শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫৬ লক্ষ

২৮ দিন ধরে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’! শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫৬ লক্ষ

ওয়েব ডেস্ক: ফের শিরনামে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest)। আর এবার এই সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) শিকার হলেন এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা (Teacher)। ডিজিটাল ফ্রেফতার হয়ে গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) বাসিন্দা অর্চনা খের খুইয়েছেন প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা। অচেনা নম্বর থেকে আসা একটি ফোনকল থেকেই শুরু হয় এই ভয়াবহ প্রতারণা। প্রায় ২৮ দিন ধরে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর নামে নানা ভয় দেখিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে কৌশলে আদায় করা হয় বিপুল অঙ্কের অর্থ।

ঘটনার সূত্রপাত ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল। সেদিন সন্ধ্যায় অর্চনার ফোনে একটি অচেনা নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির প্রতিনিধি বলে পরিচয় দিয়ে ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যে তাঁর নম্বর বন্ধ করে দেওয়া হবে কারণ সেটি নাকি অসাধু কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ১২৮-এ থামল জীবনের চাকা, অমৃতলোকে পাড়ি যোগী শিবানন্দ বাবার

বিভ্রান্ত হয়ে ওই শিক্ষিকা কী করতে হবে জানতে চাইলে, ফোনটি সরাসরি আরেক ব্যক্তির কাছে ট্রান্সফার করা হয়। নতুন ব্যক্তি নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে জানান, অর্চনার আধার নম্বর প্রয়োজন। আধার নম্বর দেওয়ার পরে তাকে জানানো হয়, তাঁর নামে ১০০টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সেগুলির মাধ্যমে হাওয়ালার টাকা পাচার হচ্ছে। এরপর বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে তাঁকে মোট পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫৬ লক্ষ টাকা পাঠাতে বাধ্য করা হয়। প্রায় এক মাস ধরে এইভাবে আর্থিক ও মানসিক চাপে রাখে প্রতারকেরা।

অবশেষে ১ মে গাজিয়াবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ইতিমধ্যেই পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে তার মধ্যে তিনটি ‘ফ্রিজ’ করা হয়। বাকিগুলিও দ্রুত ফ্রিজ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রতিটি অ্যাকাউন্টের মালিক ভারতীয় নাগরিক। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮ (৪), ৩৪০ (২), ২০৪, ৩০৮ (২), ৩৫১ (৪) ধারা সহ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং প্রতারকদের খোঁজে তদন্ত চলছে।

দেখুন আরও খবর: 

Read More

Latest News