কলকাতা: অসমের কর্মসূচি শেষ করে সোমবার তিনদিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গাড়ি থেকে নেমে বিজেপি কর্মীদের জমায়েতের দিকে হাত নাড়েন তিনি। দমদম বিমানবন্দর থেকে অমিত শাহ সোজা পৌঁছন সল্টলেকে বিজেপির রাজ্য দফতরে। ছাব্বিশের রোডম্যাপ গড়তে রাতেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একটি সাংগঠনিক বৈঠক করেন তিনি। রাতে নিউটাউনের একটি হোটেলে রাত্রিবাস করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, প্রথম দফায় ২৬ জন , দ্ধিতীয় দফায় ১০ জনকে নিয়ে বৈঠক করলেন শাহ। দলীয় নেতৃত্বর সব কথা শুনেছেন।মতুয়াদের ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসআইআর-এর নাম বাদে কাদের সুবিদা হয়েছে – তাও বৈঠকে উঠেছে। সাংবাদিক বৈঠকে শান্তনু ঠাকুরকে থাকতে বলেছেন অমিত শা। এর মাঝে স্যোসাল মিডিয়ার বিভিন্ন ভিডিও এবং কত মানুষের কাছে পৌঁচ্ছেছে – তার হিসাব নেন জেরা ভিত্তিক। দু’দফায় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চলবে বৈঠক।
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর নিয়ে বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন ১০ জন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়া বৈঠকে থাকার সুযোগ পেয়েছেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্ড, পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়, নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ভূপেন্দ্র যাদব, সহকারী বিপ্লব দেব।
আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে পশ্চিমবাংলায় দলের সাংগঠনিক হালহকিকত বুঝে নেওয়ার জন্যই রাজ্যে এসেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তিন দিনের এই সফরসূচির পুরোটাই থাকছে কলকাতাকেন্দ্রিক। নেই কোনও প্রকাশ্য জনসভা বা সমাবেশ। সরকার গঠন হচ্ছেই। প্রত্যয়ী শাহ। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই যাবতীয় আলোচনা। প্রচারে কোন কোন বিষয়ে জোর ঠিক করে দিচ্ছেন শাহ। অনুপ্রবেশ, জনবন্যাসের বদল, ধর্মীয় উৎপীড়ন, তোষণের রাজনীতির অভিযোগের পাশাপাশি বিকল্প উন্নয়নের মডেল। শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য, সড়ক পরিবহন, ক্ষুদ্র কুটির ও মাঝারি শিল্প, গরিব মানুষের জন্য স্বনিযুক্তি প্রকল্প, মহিলা ক্ষমতায়ন এবং পরিযায়ী ঠেকাতে রাজ্যে কর্মসংস্থানে জোর।







