ব্যান্ডেল: কলকাতায় মরশুমের শীতলতম দিন, এক ধাক্কায় পারদ নামল ২ ডিগ্রি। শীতের শিরশিরানিতে জবুথবু শহর থেকে জেলাবাসী। বড়দিনের (Christmas 2025) আগে শেষ রবিবারে ব্যান্ডেল চার্চে (Bandel Church)উপচে পড়া ভিড়, শীতের আমেজে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা হুগলীতে। বড়দিনের আগেই শীতের আমেজ গায়ে মেখে উৎসবের রঙে সেজে উঠেছে হুগলির ঐতিহাসিক ব্যান্ডেল চার্চ। রবিবারে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট ব্যান্ডেল চার্চ।
১৫৯৯ সালে ব্যান্ডেলে বাণিজ্য করতে এসে এই গির্জা নির্মাণ করে পর্তুগিজরা। ভারতবর্ষের প্রাচীন গির্জার মধ্যে ব্যান্ডেল চার্চ অন্যতম। সারা বছরই প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই শতাব্দি প্রাচীন ব্যান্ডেল চার্চ দেখতে বা ঘুরতে আসেন। আর বড়দিনে তো ভিড় উপচে পড়ে। বড়দিন থেকে বর্ষ শেষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
আরও পড়ুন: ভগবানপুরে গান গাইতে গিয়ে হেনস্তার শিকার লগ্নজিতা! গ্রেফতার অভিযুক্ত
আগামী বৃহস্পতিবার বড়দিন। তার আগেই বড়দিন উদযাপনের আবহে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জায় মোড়ানো হয়েছে ব্যান্ডেল চার্চ। বড়দিনের দিন গির্জার ভেতরে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায়, শেষ রবিবার থেকেই মানুষজন উৎসবে মেতে উঠছেন। প্রার্থনা, আলোকসজ্জা এবং চার্চের ঐতিহ্য উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য পর্যটক। চার্চ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ছে যীশু খ্রিস্ট ও মা মারিয়ার বিভিন্ন মনোরম মূর্তি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ব্যান্ডেল চার্চ বর্তমানে একটি ব্যাসিলিকা। চার্চের দীর্ঘ ইতিহাস ও প্রাচীনত্বের কারণে স্বয়ং পোপের অনুমোদনে এই সম্মানসূচক উপাধি প্রদান করা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য বিখ্যাত ব্যাসিলিকার তালিকায় ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকাও বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে। বড়দিনের দিন ব্যান্ডেল চার্চে সকাল ৭টা, সওয়া ৯টা এবং ১১টায় উপাসনা অনুষ্ঠিত হবে। উপাসনা চলাকালীন সাধারণ দর্শনার্থীদের চার্চের ভেতরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে চার্চ সংলগ্ন গোসালা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ যেতে পারেন।







