বীরভূম: বাংলা ভাষায় (Bengali Language) কথা বলার অপরাধে ৬ মাস ধরে বন্দি। অবশেষে ঘুচল বন্দিদশা। বীরভূমের (Birbhum) ছয়জনকে জামিন মঞ্জুর করেছে বাংলাদেশের আদালত (Banladesh)। ছাড়া পাচ্ছে সোনালী খাতুনসহ বীরভূমের ৬ জন বাসিন্দা। স্বাভাবিকভাবেই খুশি মুরারই ও পাইকরের মানুষ।
বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমার মুরারই ও পাইকর গ্রামের ৬ জন বাসিন্দা কর্মসূত্র থাকত দিল্লিতে। এরা হলেন সোনালী খাতুন, দানি শেখ, সাবির শেখ, সুইটি বিবি, কুরবান শেখ, ইমাম দেওয়ান।
গত জুন মাসে বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য দিল্লির পুলিশ আটক করে বীরভূমের ছয়জনকে। ভোটার, আধার, প্যান কার্ড। এমনকি বৈধ নথি দেখানোর পরও আসাম সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে বিজেপির জমিদার দিল্লির সরকার। ছয় মাস ধরেই বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি ছিল বীরভূমের ৬ জন বাঙালি।
আরও পড়ুন- মাত্র ২২ দিনে সম্পূর্ণ কাজ ! স্কুল–বাড়ি সামলে SIR ফরম বিতরণের দৃষ্টান্ত রেশমা সুলতানার
শুধুমাত্র বাঙালি এবং বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী তকমা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় বিজেপির দিল্লি সরকার। এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয় তৃণমূল। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় চার সপ্তাহের মধ্যে এদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা। তবুও কেন্দ্র সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মামলা গড়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টেও।
এদিকে সামগ্রিক দিক খতিয়ে দেখে বীরভূমের মুরারই ও পাইকর গ্রামের ৬ জনকে বাংলাদেশের আদালত জামিন মঞ্জুর করে। এই খবর বীরভূমে এসে পৌঁছতেই খুশির হাওয়া মুরারয় ও পাইকর গ্রামের দর্জিপাড়ায়।
বাংলাদেশে বন্দী হয়ে থাকা সোনালী বিবির বাবা ভদু শেখ জানান, খুব ভালো লাগছে। ছয় মাস ধরে মেয়ে সহ অন্যান্যরা বন্দী ছিল। এতদিন পর আবার তাদের দেখতে পাব। খুব খুশি আমরা। রাজ্য সরকার ও রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলামকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।
দেখুন আরও খবর-







