ওয়েব ডেস্ক: পুজোর আবহে মেতে উঠেছে বাঙালি। এবার পুজোয় এসভিএফ এবং দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারস দর্শকদের যা উপহার দেওয়ার চেষ্টা করলেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এখন বাংলা ছবির বাজারে যেন ফুলঝুরি। দেখলে মনে হবে ছবির লড়াই চলছে। সেখানে ‘রঘু ডাকাত’ ও লড়াই করছে। বাংলা ছবি হলেও ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ছবিতে যেন দক্ষিণী ছায়া দেখা যায়।
‘রঘু’র ভূমিকায় মেগাস্টার দেব।
সৌদামিনীর চরিত্রে ইধিকা পাল, অহীন্দ্র বর্মনের চরিত্রে অনির্বাণ ভট্টাচার্য, গুঞ্জার চরিত্রে সোহিনী সরকার, ডাঙ্কানের চরিত্রে অ্যালেক্স ও’নীল এবং অন্যান্যরা। বাংলার রবিনহুডের গল্প বলবে এই ছবি।
রঘু ডাকাত একেবারেই কল্পনা-নির্ভর ছবি। ব্রিটিশ শাসনের সময়কালের একটা গল্প সাজানো হয়েছে। যেখানে চরিত্রগুলোকে রূপক হিসাবে দেখা যেতে পারে। এই রূপকথায় যুক্তি নেই, আবেগ আছে। এই রূপকথায় দশবার মার খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো আছে। এই ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি আমরা প্রতিনিয়ত খুঁজি। কখনও তা বাস্তব জীবন থেকেই পাই, আবার কখনও ‘রঘু ডাকাত’ থেকে।
এই ছবির চিত্রনাট্যে কিছু অংশে ছন্দপতন আছে। গল্পের বুনোট নিয়ে আরও কিছুটা কাজ করা যেত। কিছু জায়গায় ছবির গতি ধীর হয়েছে। রঘুর সঙ্গে অহিন্দ্রর প্রথমবার মুখোমুখি হওয়ার অ্যাকশন দৃশ্যটি আরও জমতে পারত। ডাকাতির একটা দৃশ্যও রাখা যেত। তবে তিরের মতো কিছু সংলাপে আর চরিত্রদের উজ্জ্বল উপস্থিতির কারণে শেষ অবধি ‘রঘু ডাকাত’-এর রেশ রয়ে যায়। যে ইউনিভার্স তৈরি করেছেন পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বাংলা ছবিতে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল বহু দিন।
আরও পড়ুন: ক্যামেরার দিকে জুলজুল করে তাকিয়ে, চতুর্থীতে ছেলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন পিয়া
ছবির এক দৃশ্যে শয়তান জমিদারকে নীল রং মেখে চানঘরে গায়ে জল মাখতে দেখলে সেই রংমাখা পৃথিবীর শাসকের কথাই মনে পড়ে যায়। ‘রঘু ডাকাত’-এর চরিত্রে দেব সেই শয়তানের মুখোশ খুলে দিতে পারেন হয়তো, কিন্তু বাস্তব পৃথিবীতে সেই দায়িত্ব কে নেবে? কে হবে পরিত্রাতা। নাকি আমার, আপনার, পৃথিবীর জনসাধারণের পরিত্রাণ তাদের নিজের মতো করেই খুঁজে নিতে হয়, কখনও নিজের মধ্যে, কখনও তেমন বন্ধু পেলে।
রঘুর তেমন এক বন্ধু ছিল (গুঞ্জা), ছিল একখান প্রেমও (সৌদামিনী)। বন্ধুত্বে এবং প্রেমে নারীচরিত্র এই ছবির জোর। গ্রামীণ, রুক্ষ প্রান্তরে সেই প্রেম আর বন্ধুত্বের জোর, রঘুকে শত্রুবিনাশ করতে সাহায্য করে। প্রেম আর বন্ধুত্বের মধ্যে বেছে নেওয়ার সময়ও আসে! হাতের কাছে থাকে প্রেম, সেই প্রেমের মায়াকেই সম্বল করে রঘু এগিয়ে যায়। সিনেমায় তো সকলই সম্ভব! তাই না! সব মিলিয়ে এই ছবি বাস্তবের থেকে কিছুটা আলাদা বাক্য বহন করছে।
দেখুন খবর: