নয়া দিল্লি: রাজ্যের নতুন নির্বাচনী অফিসার মনোজ কুমার অগ্রওয়ালের নিয়োগকে স্বাগত জানালো বিজেপি (BJP)। কিন্তু নির্বাচনী অফিস নিয়ে তাদের অভিযোগের কোনও সুরাহা হল না বলে তারা মনে করেন। বিজেপির বক্তব্য, একটা সিইও গোটা নির্বাচনী দফতরকে নিরপেক্ষ করতে পারে না। নির্বাচন দফতরে জয়েন্ট অফিসার, ডেপুটি অফিসার সহ যে কর্মীরা আছেন, তারা সবাই রাজ্য সরকারের কর্মী। জেলার জেলায় নির্বাচন পরিচালনা করে জেলা শাসক বা সহকারী জেলা শাসক। এদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এরা অধিকাংশ শাসক দলের অনুপ্রেরনা। তাই একটা সিইও এলে বা গেলে নির্বাচনী দফতরের কিছু বদল হবে না, বলে মত বিজেপির।
বিজেপির নির্বাচনী সেলের প্রধান শিশির বাজরিয়া নতুন সিইও স্বাগত জানিয়ে বলেন, আশা করব ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন স্বতঃস্ফূর্ত হবে। তবে এ জন্য গোটা নির্বাচনী দফতরের সংস্কারের প্রয়োজন । সংবিধান অনুসারে সেটা হতে হলে , নির্বাচন নোটিফিকেশন ছাড়া সম্ভব নয় । তখনই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে বা কাউকে সরিয়ে বা বসিয়ে দিতে পারে ।
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড বর্ধমান রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল
প্রথম দফায় নতুন সিইও নাম পাঠায়নি রাজ্য সরকার । কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নতুন করে নাম পাঠাতে বলে রাজ্য সরকারকে । তখন তিনজনের মধ্যে মনোজ কুমার অগ্রওয়ালের নাম অন্তর্ভুক্ত হয় । বিজেপির মতে, ছাব্বিশের নির্বাচন তাদের কাছে ধর্মযুদ্ধ। আরএসএস এই নির্বাচন রাজ্য বিজেপির হয়ে পরিচালনা করবে। তাই নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ থাকবে প্রচুর । কীভাবে তারা মোকাবিলা করবে – সেটাই দেখার ।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল নেতা এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয়েছে ।
দেখুন আরও খবর: