কলকাতা: শনিবার সকাল থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) তুমুল উত্তেজনা। ওয়েবকুপারের বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয়। পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্ররা। এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওয়েবকুপার সভা শেষে তাঁকে আটকে দেওয়া হয় ক্যাম্পাসে। পালটা তৃণমূলের তরফে স্লোগান দেওয়া হয়। দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। দুপক্ষের হাতাহাতিতে মাথা ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) সভায় গেলে বিক্ষোভ তো দেখানো হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী বোর হওয়ার সময় তাঁর গাড়িতে হামলা করা হয়। গাড়ির বোনেটে লিখে দেওয়া হয় ‘ব্রাত্য বসু চোর’ ‘গো ব্যাক স্লোগান’ তোলা হয় বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে। এই চরম পরিস্থিতিতে ভাঙে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির কাচও।
দুপক্ষের হাতাহাতিতে আহত হন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর কোমরেও চোট লাগে। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ব্রাত্য বসুকে। মন্ত্রীর রক্ষীও আহত হয়েছেন বলে খবর। দীর্ঘদিন পর এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সাক্ষী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সালে যাদবপুরে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে আক্রান্ত হন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এসএফআই সদস্যরা তাঁর চুল ছিড়ে নজিরবিহীন আক্রমণে নেমেছিল। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শনিবার ওয়েবকুপার বার্ষিক সভায় যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে ব্রাত্য বসুর গাড়ির সামনে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। তাঁর সামনেই কার্যত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এসএফআই-টিএমসিপি। একজনের মাথা ফেটে রক্ত বেরতে থাকে।
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি স্ক্রুটিনি করলেন ফিরহাদ
ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় বাম ছাত্র সংগঠন উত্তেজনা ছড়িয়েছিল যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিন ব্রাত্য বসু সভা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্রাত্য বসুর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনের গেট দিয়ে ছোকেন শিক্ষামন্ত্রী। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, যতক্ষণ না তাঁর বক্তৃতা শেষ হচ্ছে ততক্ষণ যেন কেউ সভাস্থল ছেড়ে না যান। বে আন্দোলন থামাননি বিক্ষোভকারী ছাত্ররাও। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বসুর গাড়ি আটকে তার বনেটে ‘চোর’ লিখে দেওয়া হয়। তারপর গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে জানান, আমার গাড়ি ঘিরে হামলা চালানো হয়েছে। কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যাদবপুরের অধ্যাপক তথা ওয়েবকুপার সদস্য ওমপ্রকাশ মিশ্রকেও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভরত ছাত্রদের বিরুদ্ধে। ছাত্রদের তরফে অভিযোগ, ছাত্রের পায়ের উপর দিয়ে মন্ত্রীর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন।
অন্য খবর দেখুন