ওয়েবডেস্ক- নতুন বছরের আগে গঙ্গাসাগর (Ganga Sagar) নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । গঙ্গাসাগরকে ঢেলে সাজাতে সেই সঙ্গে মানুষের সুবিধার্থে এই তীর্থে সব রকম পরিষেবা দিতে রাজ্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেই তথ্য তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, গঙ্গাসাগর আসা নিয়ে মানুষের আর কোনও সমস্যা হবে না। এর জন্য তাদের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের সাহায্য না পাওয়ায় রাজ্য নিজস্ব খরচেই গঙ্গাসাগরে কংক্রিটের সেতু তৈরি করছে। নিউটাউনে এদিন দুর্গা অঙ্গনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী দু বছরের মধ্যে সেতু তৈরি হয়ে যাবে। কাউকে জল পেরিয়ে গঙ্গাসাগরে যেতে হবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করেন, ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে কংক্রিটের সেতু তৈরি করার জন্য। টেন্ডার হয়েছে, টাকাও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি শিলান্যাস করবেন তিনি। এর পরই কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি কপিল মুনির আশ্রম, গঙ্গাসাগর মেলায় সরকারের খরচের এই স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, যদি কেন্দ্র গঙ্গাসাগরে একটা সেতু নির্মাণ করে দেয়। কিন্তু সেটা হয়নি। তাই রাজ্য সরকারই সেই উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘দুর্গা অঙ্গন’ অনেক বড় হবে জগন্নাথ ধামের মতো, জানালেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, দক্ষিণেশ্বরকে ১০০ কোটি টাকা, স্কাই ওয়াক, কালীঘাট স্কাই ওয়াক হয়েছে। গঙ্গাসাগর খুব কষ্টকর ছিল, জল পেরিয়ে যেতে হয়। ১ কোটি মানুষ আসে। ১৭০০ কোটি টাকা দিয়েছি। আগামী ২বছরের মধ্যে কংক্রিটের সেতু হবে, জল পেরাতে হবে না। পাঁচ তারিখ যাচ্ছি। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইসকন মন্দিরকে জমি দিয়েছি। তারেকশ্বর, কঙ্কালিতলা, কপিল মুনি মন্দির, কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির সহ বহু জায়গায় কাজ করেছি ও ডেভলপমেন্ট বোর্ড করেছি।
বিজেপি সরকারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ধর্ম নিয়ে বড় বড় কথা বলেন, স্বামীজি বাড়ি দখল হয়ে যাচ্ছিল। আমি শুনেই অধিগ্রহণের ব্যবস্থা করেছি। ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনকে দিয়েছি। বাগবাজারের মা সারদার বাড়ি উদ্ধার হয়েছে। গরীবদের জন্য বাংলার বাড়ি করে দিচ্ছি। এখন কোনও সমস্যা নেই।







