Wednesday, October 29, 2025
HomeScrollবর্ধমান মেডিকেল কলেজে শ্লীলতাহানির অভিযোগ! বিক্ষোভ কংগ্রেসের
Bardhaman

বর্ধমান মেডিকেল কলেজে শ্লীলতাহানির অভিযোগ! বিক্ষোভ কংগ্রেসের

হাসপাতালের সুপারকে ডেপুটেশন দেন তাঁরা

বর্ধমান : বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগিনীর মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগের পর মঙ্গলবার হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় পূর্ব বর্ধমান জেলা কংগ্রেস। আইএনটিইউসি-র (INTUC) জেলা সভাপতি গৌরব সমাদ্দার এবং দলের অন্যান্য কর্মীরা হাসপাতালের সুপার ডা: তাপস ঘোষকে ডেপুটেশন দেন। হাসপাতালের এই অভিযোগ রীতিমতো চাঞ্চল্যকর।

আইএনটিইউসি-র (INTUC) জেলা সভাপতি গৌরব সমাদ্দার জানান,  আরজি কর কান্ড থেকে স্বাস্থ্যদফতর কোনো শিক্ষা নেয়নি। হাসপাতালের অনেক কর্মীই শাসকদলের বিধায়কের কাছের লোক। তাই তারা যা খুশি করে পার পেয়ে যাবে ভেবে নিয়েছে। অভিযুক্তও সেরকম কেউ হতে পারে। তার দাবি,  অভিযুক্তকে আর হাসপাতালে কাজ দেওয়া যাবে না। সিসিটিভি চালু রেখে নিয়মিত মনিটর করতে হবে। হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন: বাংলায় SIR, ঘোষণার পরই আত্মহত্যা, প্রবল ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

সোমবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগিনীর বিবাহিত মেয়ের শ্লীলতাহানি এবং তাঁকে মারধরের অভিযোগে এক ওয়ার্ডবয়কে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ দে ওরফে বাপ্পা। বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ কালীতলা এলাকায় তার বাড়ি। সে হাসপাতালে ২১ বছর ধরে ওয়ার্ডবয়ের কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে।

সোমবার ভোররাতে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ। ধৃতকে সোমবারই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে পাঁচদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। ধৃতকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসী মহিলার মা কয়েকদিন ধরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের নিউ বিল্ডিংয়ের ফিমেল চেস্ট ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা চলছে। শনিবার থেকে মায়ের কাছে ছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে আসার পর থেকেই অভিযুক্ত তাঁকে কু-ইঙ্গিত করছিল। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওয়ার্ডে মায়ের সঙ্গে ছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় আচমকা সেখানে আসে ওয়ার্ডবয় বিশ্বজিৎ। ঘরে ঢুকেই সে আলো নিভিয়ে দেয়। এরপর পিছন থেকে সে মহিলাকে জড়িয়ে ধরে। মহিলার শ্লীলতাহানি করে। এমনকি তাঁর শাড়ি টেনে খুলে দেয়। মহিলা চিৎকার করলে তাঁর মুখ টিপে ধরে অভিযুক্ত। মহিলাকে তখন সে কিল, চড় ও ঘুষি মারে। নিজেকে কোনও রকমে মুক্ত করে মহিলা চিৎকার জুড়ে দেন। তা শুনে হাসপাতালের লোকজন ও কিছু লোক সেখানে পৌঁছান। তাঁরা লাইট জ্বালিয়ে দেন। তখন অভিযুক্ত দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিনই মহিলা এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৬(২), ১১৫(২), ৭৪, ৭৫(২), ৭৬ ও ৭৯ ধারায় মামলা রুজু করে মহিলা থানা।

দেখুন খবর: 

Read More

Latest News