Tuesday, December 2, 2025
HomeScrollAajke |পোড়ামুখ দেখাতে আরও কিছুটা সময় পেল বিজেপি, দিল নির্বাচন কমিশন
Aajke

Aajke |পোড়ামুখ দেখাতে আরও কিছুটা সময় পেল বিজেপি, দিল নির্বাচন কমিশন

মমতার সরকার ভেঙে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক, মন্তব্য সুকান্তর

মুখ পুড়বে জানা কথা, কিন্তু তবুও কিছুটা সময় নেবার চেষ্টা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) আর তাদের কর্তা বিজেপি। নির্বাচন কমিশন এক ঝটিকা বাহিনীর মত স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিউ এর নামে এক অপারেশন ভোটা কাটো নিয়ে নেমেছিল বাংলায়। বিহারে হাতেখড়ি দিয়ে ওনাদের মনে হয়েছিল বাহ ব্যাপারটা তো ভালোই। মার্জিনাল আসনগুলোতে তো এই কান্ডটা করে লাভ পাওয়া গেল। সেই ফর্মুলাই তাঁরা নিয়ে নেমেছিলেন এই বাংলাতে। এ বাংলাতে তা সম্ভব নয় এটা তাঁদের জানাই ছিল না। জানাই ছিল না যে প্রতিটা মহল্লায় দুজন করে তৃণমূল বিএল এ ঘুরবে, ৭০% বিএলও দিনের শেষে এলাকার তৃণমূল নেতাদের রিপোর্ট করবে, আর ১০০% মানুষ তাঁদের নাম তোলা নিয়ে, কাগজ নিয়ে বুথ আর ভোটার লিস্ট (Voter List) নিয়ে পিএইচডি থিসিস লিখে ফেলতে পারেন। এসব করা আগে পাড়ার মোড়ে কালোদার চায়ের দোকাকে ঘন্টা দুয়েক কাটিয়ে গেলেও এটা বোঝা যেতো। কাজেই খুউউউব চেষ্টা চরিত্র করলে কাটা পড়বে কিছু মৃত ভোটারের নাম, কিন্তু সে আর কত? গলা ফুলিয়ে বলা হচ্ছে ৩৫ লক্ষ ভোটার বাদ যাবে, আমার কাছে খবর ওটা ৩০ লক্ষের বেশি নয় আর তার মধ্যে ১৪/১৫ লক্ষ মৃত ভোটার। বেশ কিছু ডুপ্লিকেট ভোটার, কিছু স্থানান্তরিত ভোটার যা পরের সংযোজনে জুড়ে যাবে। আর সেটাই বিষয় আজকে, পোড়ামুখ দেখাতে আরও কিছুটা সময় পেল বিজেপি (BJP), দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

সময় সীমা বাড়ানো হল। এক মাসের মধ্যেই করতে হবে, ইত্যাদি বলার পরে মাত্র ৪ দিন আগে, সময়সীমা বাড়ানো হল। যখন এক মাসের মধ্যে করা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে তখন বিজেপির নেতারা বলেছিলেন, এই এক মাসের মধ্যেই শেষ করতেই হবে, কেবল তাই নয়, এরই মধ্যে গ্রাম শহর ছেড়ে অনুপ্রবেশকারীদের পালাতে হবে। রাতের অন্ধকারে ঘুসপেটিয়া, অনুপ্রবেশকারীরা পালাবেন। দেখা গেল ৯৯.৪% ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে, ৮৫% ডিজিটাইজেশন হয়ে গেছে, হ্যাঁ সেসব করতে গিয়ে চাপ্টা গিয়ে প্পড়েছে বিএলওদের উপরে, কেউ মারা গিয়েছেন আতঙ্কে, কেউ আত্মহত্যা করেছেন, কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। কিন্তু কাজ শেষের দিকে। এবং নির্বাচন কমিশনারের প্রবক্তারাই জানাচ্ছেন ওই ২০/২৫ লাখ হয়ত বাদ পড়বে। ওদিকে খোকাবাবু, আমাদের শান্তিকুঞ্জের মূর্তিমান অশান্তি, তিনি তো দেড় কোটি রোহিঙ্গা আর মুসলমানদের বাদ দিয়েই ফেলেছেন। তার কী হবে? অতএব হাল ধরেছেন সুকান্ত মজুমদার, রাজনীতিতে নতুন, তাঁর দাবি দু বছর ধরে চলুক এস আই আর, ইতিমধ্যে নির্বাচন তো হওয়াই সম্ভব নয়, কাজেই রাজ্য সরকারকে ভেঙে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করা হোক। বছর দুই ধরে তালিকাকে একদম ঝরঝরে করে নিয়ে নতুন নির্বাচন হোক। এক্কেবারে কী বলেছেন, শুনিয়ে দিই, ‘‘নির্বাচন কমিশন যা ভাল বুঝেছে, করেছে। তাদের মনে হয়েছে, এসআইআর-এর সময়সীমা বাড়ানো দরকার ছিল, তারা বাড়িয়েছে। এতে আমাদের আপত্তির কিছু থাকতে পারে না। আমরা বরং বলছি, প্রয়োজন হলে সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হোক। দরকার পড়লে দু’বছর সময় নিয়ে এসআইআর করা হোক। তার পরে ভোট হোক। সে ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে রাজ্য রাষ্ট্রপতি শাসনে থাক। তার পরে যখন এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, তখন রাজ্যকে রাষ্ট্রপতি শাসনে রেখেই ভোট হোক। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’ উনি উত্তর পূর্বাঞ্চলের কচি মন্ত্রী, ওই দিকেই বিশ্ব বিখ্যাত মণিপুরি গাঁজা পাওয়া যায় বলেই শুনেছি, এসব কি সেই দ্রব্যগুণের ফল? এসআইআর চলবে, আর সেই জন্য নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে রাষ্ট্রপতি শাসনের ডাক দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি। এ খবর শোনার পরে বিজেপিতেই শোরগোল, উনি সংবিধান পড়েন নি, বোঝা গেল, কিন্তু বাকিরাও কি তাই? জানা গেল বর্তমান সভাপতি বলেছেন, এসব উল্টোপাল্টা বলার কোনও মানে আছে? হ্যাঁ একটা দল, যে দল নাকি আর কদিন পরে এক নির্বাচনের মাঠে নামবে, তাদের অন্যতম নেতার একমাত্র চাহিদা হল, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন, উনি পাল্কিতে চেপে নবান্ননে প্রবেশ করিবেন। আমরা আমাদের দর্শকদের জিজ্ঞেষ করেছিলাম, রাজ্য বিজেপি নেতা, মোদি মন্ত্রীসভার মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন এসআইআর চলুক দু বছর ধরে, ইতিমধ্যে মমতার সরকার ভেঙে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। আপনাদের মতামত জানতে চাই। শুনুন মানুষজন কী বলেছেন।

আরও পড়ুন: Aajke | মাঠে নামার আগেই দশ গোল খেয়ে বসে আছে বিজেপি

আসলে হঠাৎ করেই বিজেপি নেতারা তৃণমূলের এই সাঁড়াশি আক্রমণের ব্যাপারটা খানিকটা আঁচ করতে পেরেছেন, একদিকে এস আই আর এর বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাও, অন্যধারে এস আর আর এর প্রতিটা কাজে দলকে জুড়ে মানুষের সঙ্গে থাকো। দুধার থেকেই মানুষের সমর্থন পাচ্ছে তৃণমূল, এই বিশাল আশঙ্কা আর ভয়ের পরিবেশে তারা এস আই আর এর বিরোধিতাও করছে, আবার পাড়ার মোড়ে মড়ে ক্যাম্প করে মানুষের সঙ্গেও থাকছে, এই দুটো কাজই তাদের কে এস আই আর আক্রমণকে ভোঁতা করে পালটা এক আক্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে। বিজেপি সেটা বুঝতে পেরেই এখন বলা বলি করছে বি এল ও আর রাজ্য প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল এস আই আর হাইজ্যাক করে ফেলেছে। বোঝো কান্ড।

Read More

Latest News