ওয়েব ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (International Crimes Tribunal Bangladesh) দোষী সাব্যস্ত হলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) মৃত্যুদণ্ডই দিল বাংলাদেশের বিশেষ আদালত। বিচারপতি বলেন, ‘‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছে। হাসিনা, আসাদুজ্জামান এবং আল-মামুন এর জন্য দায়ী। প্রাক্তন পুলিশকর্তা আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন। রায়ের পর বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, ‘ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়। এটি কোনও গণতান্ত্রিক মত নয়। পক্ষপাতদুষ্ট রায় দেওয়া হল আমার বিরুদ্ধে। এ হেন রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশজোড়া বন্ধের ডাক দিল আওয়ামী লীগও।’
২০২৪ সালে জুলাইয়ে গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ সাজাই হল শেখ হাসিনার। ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল। আরও একটি মামলায় তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে, জানাল আদালত। সোমবার রায় ঘোষণার পরই আওয়ামী লিগের সমাজমাধ্য়মে পোস্ট হয়েছে শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়া। সমস্ত অভিযোগকে নস্যাৎ করে, গোটা রায়দান প্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। রায় ঘোষণার পর লিখিত বিবৃতি দিয়ে হাসিনা দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলির সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। বরং তাঁর আমলে মানবাধিকার এবং উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেত্রীর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছে, তা-ও আবার একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনস্থ অবৈধ ট্রাইবুনাল সেই রায় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডই দিল বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল
তাঁর কথায়, ইউনূস সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে দেশের বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসাবে ব্য়বহার করছে। বাংলাদেশ ট্রাইবুন্যালের এই রায়কে কোনও পেশাদার আইনজীবী সমর্থন করবেন না। নামে আন্তর্জাতিক লেখা থাকলেও, কাজে নয়। এটা স্পষ্ট, ইউনূস সরকার নিজেদের রাগ মেটাতে এই আদালতকে ব্যবহার করেছে। আমি আগে ওঁদের চ্যালেঞ্জ করেছি। আবারও করছি। সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে হগে স্থিতু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যান। আমি এটাও জানি, ওরা যাবে না।
দেখুন ভিডিও







