ওয়েবডেস্ক- ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকারের (Modi Government) অন্যতম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বাতিল (370 Article)। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আইএএস কান্নন গোপীনাথন (IAS Kannan Gopinathan) তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই কন্নন গোপীনাথন কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
সাংবাদিকদের সামনে কান্নন গোপীনাথন বলেন, ২০১৯ সালে আমি আমার চাকরি থেকে ইস্তফা দিই। তখন থেকেই জানতাম যে সরকার দেশকে যে দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা ভুল। আমি এটাও জানতাম যে আমাকে এই ‘ভুল’-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের পর, আমি সারা দেশের ৮০-৯০টি জেলা পরিদর্শন করেছি, মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি এবং বিভিন্ন নেতার সঙ্গে দেখা করেছি। আমি বুঝতে পেরেছি যে কেবল কংগ্রেস পার্টিই এই দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে।
আমরা অনেক দিন পর প্রজা থেকে নাগরিক হয়েছি, কারণ আমাদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার অধিকার আছে। কিন্তু আমরা এটাও দেখেছি যে এই সরকারের আমলে যদি কেউ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে তবে তাকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আমার অনেক সময় লেগেছে, কিন্তু আমি খুশি যে আজ আমি কংগ্রেস পার্টির সাথে যুক্ত এবং দল আমাকে যে দায়িত্বই দিক না কেন, আমি তা সম্পূর্ণ সততার সাথে পালন করব।
কংগ্রেসের কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল গোপীনাথনকে একজন সাহসী আমলা বলে অভিহিত করেছেন। যিনি নিপীড়িত ও প্রান্তিক মানুষের জীবন সম্পর্কে আগ্রহী।’ সেই সঙ্গে বেনুগোপাল বলেন, তাঁর কংগ্রেসে যোগদান এটাই প্রমাণ করে দিল যে, আমাদের দলই ভারতে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছে। এই সময় যে সমস্ত আমলাই হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করছে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। এমনকী ভারতের প্রধান বিচারপতিও এর হাত থেকে রেহাই পাননি। এবার এই বৈষম্যমূলক আচরণে সঙ্গে লড়াই করার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন- ‘গত ছ’বছর ধরে কী করেছেন?’ রাজীব মামলায় CBI-কে প্রশ্ন আদালতের
এদিন গোপীনাথন ৩৭০ ধারা লাগু করার সময় নিয়ে বলেন, “রাজ্যের পরিবহন, ইন্টারনেট এবং টেলিফোন লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ নেতাদের জেলে পাঠানো হয়েছিল। গণতান্ত্রিক দেশে কি এটা ঠিক ছিল? আমাদের কি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা উচিত ছিল না? আমি তখনও এই তুলেছিলেন, আজও একই কথা বলব।
দেখুন আরও খবর-