ওয়েব ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় ‘নো টলারেন্স’ (No Tolarance) নীতি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government of Bangladesh)। ইউনুস (Mohammed Yunus) সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগের ক্ষেত্রে পুলিশকে দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এই সমস্ত হামলার ঘটনায় আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।
শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এই কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি তাঁর এক বক্তব্যে বলেছেন, ইউনুস সরকার বাংলাদেশে (Bangladesh) জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। সেই কারণে এবার সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আজাদ জানান, এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে ইউনুস সরকার।
আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশে মন্দির লুঠ
একইসঙ্গে উপপ্রেস সচিব একটি সরকারি পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছেন, যেখানে বাংলাদেশের মাটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সংখ্যা দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে ১,৭৬৯টি এরকম ঘটনা ঘটেছে। তবে এক্ষেত্রে সকল নিপীড়িত মানুষকে সাহায্য করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইউনুস সরকারের তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দেওয়া তথ্য বলছে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশে নির্যাতিত হচ্ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। ৪ আগস্ট ৬৫টি, ৫ আগস্ট ১,৪৫২টি এবং ৬ অগস্ট ৭০টি সংখ্যালঘু হামলার ঘটনা ঘটেছে। এইসব বিষয় নিয়ে বারবার আন্তর্জাতিক চাপ আসছে বাংলাদেশের উপর। তাই এবার এক্ষেত্রে ‘নো টলারেন্স’ নীতি প্রণয়ন করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইউনুস সরকার।
দেখুন আরও খবর: