Friday, August 29, 2025
HomeScrollরাতেই বৈষ্ণদেবী যাত্রাপথে ধস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

রাতেই বৈষ্ণদেবী যাত্রাপথে ধস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

ওমরের সঙ্গে ফোনে কথা, রাজ্যেকে সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাস অমিত শাহের

ওয়েবডেস্ক- প্রকৃতির রুদ্ররূপে লন্ডভন্ড জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir)। অবিরাম চলা ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিপদের মুখে স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটক। বন্যা (Flood), হড়পা বান, ভূমিধসের (Landslide) জেরে ভয়ঙ্কর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বৈষ্ণোদেবী (Vaishno Devi) যাত্রাপথে ধসে চাপা এই রুটেই কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। এখনও বহু মানুষ ধসে চাপা পড়ে রয়েছে। চলছে উদ্ধারকাজ। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা।

জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কাটরায় অর্ধকুমারীর কাছে মাতা বৈষ্ণদেবী যাত্রা পথে ধস নামে। সেই ধসে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৩। বহু মানুষ এখনও চাপা পড়ে আছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা।

ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কেন্দ্র সরকার রাজ্যের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার থেকে এখনও পর্যন্ত একনাগাড়ে চলছে ভারী বৃষ্টি। যার জেরে অবস্থা ক্রমই মারাত্মক আকার নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বৈষ্ণদেবী যাত্রা বন্ধ রাখার ঘোষণা করে প্রশাসন। রাতেই বৈষ্ণদেবী যাত্রাপথে ধস নামে। গভীর রাত থেকেই একযোগে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কোথাও কোথাও ভেঙে পড়েছে সেতু। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে একাধিক নদীর জল। বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে মোবাইল নেটওয়ার্কেও বিভ্রাট। মঙ্গলবার পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে নিরাপদ অন্যত্র সরানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যয়, স্থগিত বৈষ্ণোদেবী যাত্রা

মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত, টানা ছয় ঘণ্টা রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। গোটা রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ ২২ সেন্টিমিটার। বৃষ্টিপাতের রেকর্ড রয়েছে।

ব্যাহত রেল পরিষেবা। উত্তর রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আজ, বুধবার জম্মু ও কাটরা থেকে মোট ২২ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ২৭টি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। পাঠানকোট থেকে হিমাচল প্রদেশ পর্যন্ত রেল পরিষেবাও বাতিল করা হয়েছে।

আজ দশম ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও, রাজৌরির সরকারি মেডিকেল কলেজ ঘোষণা করেছে যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আজ, ২৬ অগাস্ট এবং বুধবার ২৭ অগাস্ট জন্য নির্ধারিত সমস্ত এমবিবিএস, প্যারামেডিক্যাল এবং নার্সিং কোর্সের ক্লাস বাতিল করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া, ডোডা, জম্মু, সাম্বা, রামবান এবং কিস্তওয়ার জেলাগুলি অবিরাম চলা টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে ডোডায়। ভয়ঙ্কর বৃষ্টির জেরে আসে হড়পা বান।  ফলে এলাকার ১০টি বাড়ি ভেসে যায়। প্রশাসনের তরফে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত চার জনের। বহু মানুষ নিখোঁজ।  তাউই নদীর জল বেড়েছে। পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিচ্ছে। ভূমিধসের ভয়ে বন্ধ রাখা হয় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। ডোডা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে তারানা নদী, উজ নদী, মাগ্গার খাদ, সাহার খাদ এবং কাঠুয়ায় তাদের উপনদী, সাম্বার বাসেন্টার, জম্মুর তাবি এবং চেনাবের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কিশতওয়ার, রিয়াসি, রাজৌরি, রামবান এবং পুঞ্চ জেলার উচ্চভূমি এলাকা থেকেও সরকারি ও বেসরকারি ভবন ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News