কলকাতা: বর্ধমানে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস এবং পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিশেষ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ৭২ হাজারের বেশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) পাবেন। সেই সঙ্গে প্রশাসনিক সভায় একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার মোট ১৪৫২ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। যার অর্থ মূল্য আনুমানিক ৭৮৪ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। একইসঙ্গে ৬৯৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার ১৭১ টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন।
মঙ্গলবার বর্ধমানের প্রশাসনিক সভায় একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, এখন ২ কোটির উপরে মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পান। শুরুতে মাসে ৫০০ টাকা করে পেলেও, এখন মাসে ১ হাজার টাকা করে পান তাঁরা। অন্য দিকে তফশিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত মহিলারা পান মাসে ১২০০ টাকা করে। আর এই আবহে স্বয়ং দলনেত্রী এদিন সভা থেকে ঘোষণা করে জানালেন আরও ৭২ হাজারের বেশি লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৫ হাজার ছাত্রছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হয়েছে। ২৫০০-এর বেশি মানুষকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সাহায্য। মেমারি, গুসকরার বিভিন্ন স্কুলে সায়েন্স ল্যাব, লাইব্রেরি তৈরি হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ৫৪ টি স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম হয়েছে। ১৫ টি আদিবাসী কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় ৪৯ টি বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে। কৃষি ও শিল্পকে মেলাতে চেয়েছিলাম। কৃষি সেতু আছে, শিল্প সেতুও তৈরি হচ্ছে ৩৪৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকায়। রানিগঞ্জ, আসানসোলে পৌরনিগমের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ। কাঁকসা, সালানপুরে রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রায় ৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। দুর্গাপুরে কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। বহু রাস্তা নির্মাণ ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কাজে শিলান্যাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: “ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র বড় চোর,” বিজেপিকে নিশানা মমতার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২৪ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। যার অর্থমূল্য ১১০ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে আসানসোলের কল্যাণপুরে জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনারেটের নতুন ভবন। ২৩ টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন, যার অর্থমূল্য ৫১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। এদিন কৃষি জমি ও বসত জমির পাট্টা প্রদান করেন এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তিনি উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন।
এদিনও কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। দুর্গাপুরের সভায় নরেন্দ্র মোদির মুখে ‘জয় শ্রীরামের’ বদলে শোনা গেছিল – ‘জয় মা কালী’ ও ‘জয় মা দুর্গা’। এনিয়েও মঙ্গলবার আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আগে বলত, মমতাজি তো দুর্গাপুজো করতে দেন না। এখন দেখছে কোনও লাভ নেই। এখন আবার বলছে, জয় মা দুর্গা। বাপরে! কী জোরে বলছে, আমাদের থেকেও জোরে বলছে! কারণ, ভোট আসছে, ভোটপাখি।
দেখুন ভিডিও
