Monday, December 29, 2025
HomeScroll‘দুর্গা অঙ্গন’ অনেক বড় হবে জগন্নাথ ধামের মতো, জানালেন মমতা
Mamata Banerjee

‘দুর্গা অঙ্গন’ অনেক বড় হবে জগন্নাথ ধামের মতো, জানালেন মমতা

‘জানুয়ারিতে মহাকাল মন্দিরের শিলান্যাস হবে’! ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা: আনুমানিক ২৬২ কোটি টাকা খরচে নিউটাউন বাস স্ট্যান্ডের বিপরীতে অ্যাকশন এরিয়া–ওয়ানে প্রায় ১৭ একরেরও বেশি জমিতে তৈরি হবে দুর্গা অঙ্গন।নিউটাউনে সোমবার ‘দুর্গা অঙ্গন’ (Durga Angan)-এর শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুর্গা অঙ্গনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মমতা।বাংলার মাটিকে এই অনুষ্ঠান উৎসর্গ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা বিশ্বের বৃহত্তম দুর্গা অঙ্গন হবে। এখানে প্রতি দিন এক লক্ষ ভক্ত আসতে পারবেন। আমরা তার ব্যবস্থা করছি। দুর্গা অঙ্গন টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। আজকে ভালো দিন ছিল, ভালো দিনে কাজ শুরু করতে হয়। আমাদের সকলের কাছে আর একটি মুকুট। যেটা আমাদের জাতীয় উৎসব হিসাবে ইউনেস্কো থেকে সন্মান পেয়েছে,যা ৩৬৫ দিন থাকবে। হাজার হাজার মানুষ আসবে।

মমতা জানান, দু’লক্ষ বর্গফুট এলাকায় তৈরি হবে এই দুর্গা অঙ্গন। তাঁর কথায়, ‘‘এটা এত বড় করে করা হয়েছে যে মন্দিরে উঠোনেই এক লক্ষ লোক বসে থাকতে পারবেন। এই চত্বরের চারপাশে ২০ ফুট চওড়া ঘোড়ার পথ করা হচ্ছে। ১, ০০৮টি স্তম্ভ হচ্ছে। মূল গর্ভগৃহের উচ্চতা হবে ৫৪ মিটার। মূল মণ্ডপ ছাড়াও সিংহদূয়ার, ও অন্য মণ্ডপও থাকবে। ১০৮ টা দেবদেবী। ৩০০ টির বেশী গাছ লাগানো হবে। প্রাকৃতিক আলো ও বাতাসের উপর জোর দেওয়া হবে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটা ট্রাষ্ট তৈরি করেছি। তিনি আরও বলেন, আগের জমি টা ১২ একর ছিল, জমি, পার্কিং, এটা খুব বড়ো জায়গা ১৭ একরের বেশি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। বিশ্বের বিহত্তম দুর্গঙ্গন হবে। তিনি বলেন, সমস্ত সম্প্রদায়ের সকলে এসেছে। ধর্ম জার জার ,উৎসব সবার। ৩৬৫ দিন পুজো হবে। এছাড়া দর্শন করতে পারবেন।অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ইউনেস্ক যখন স্বীকৃতি দেয়, সাংস্কৃতিক মিলন উৎসব। বাংলার বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। যে কর্মীরা কাজ করবে তাদের জন্য আমাদের শুভেচ্ছা রইল।মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া ট্রাস্ট এই মন্দিরের দেখাশোনা করবে।

আরও পড়ুন: CEO-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে পার্থ ভৌমিক! সমস্যা না মিটলে ফের বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি

নিউ টাউনে দুর্গা অঙ্গনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মঞ্চ থেকে মমতা মহাকাল মন্দিরের শিলান্যাসের কথা ঘোষণা করলেন। তিনি জানালেন, জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মহাকাল মন্দিরের শিলান্যাস হবে। পুজোর দিনও ঠিক করা হয়েছে। টাকাও জোগাড় হয়ে গিয়েছে।মমতা বলেন, দুর্গা মন্দিরের ট্রাস্টে যা টাকা জমা পড়েছে, তাতে মায়ের মূর্তির দাম উঠে এসেছে। বাকিটা হিডকো থেকে খরচ করতে হবে। আমাদেরও ২৫০-৩০০ কোটি টাকা দিতে হবে কার পার্কিং সহ বিভিন্ন খাতে। এর আগে দক্ষিণেশ্বরে, কালীঘাটে আমরা টাকা দিয়েছি। গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রমের উন্নয়ন করা হয়েছে। কেউ টাকা দেয় না। আমরাই করি। তিনি বলেন, ‘‘সব ধর্মকে ভালবাসতে হবে। আমি সব ধর্মকে ভালবাসি। গুরুদ্বারে যখন যাই, তখন মাথায় চাদর দিই। রোজায় গেলে বলো কেন? আমি আজ এখানে এসেছি তাই গায়ে চাদর জড়িয়ে নিয়েছি।’’

মমতা বলেন, ‘‘বাংলা তার সৃষ্টি, কৃষ্টি দিয়ে বাংলা সারা পৃথিবীকে পথ দেখাবে।’’তাঁর কথায়, ‘‘এ রাজ্যে সব ধর্ম পালন করা হয়।’’ দুর্গা অঙ্গন শুধু ধর্মীয় স্থান নয়, দিঘার জগন্নাথ ধামের মতোই সেখানেও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন অনেকে, জানান মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘মন্দিরে সঙ্গে সঙ্গে এখানে নতুন কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে। অনেক দোকান তৈরি হবে। কর্মশ্রম আরও বাড়বে।’’ জানান, তাঁর সরকার এ রাজ্যে ধর্মীয় স্থান তৈরি এবং পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য কী কী কাজ করেছে। জানান, দক্ষিণেশ্বরকে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে। কালিঘাট স্কাই ওয়াক হয়েছে। গঙ্গাসাগর খুব কষ্টকর, জল পেরিয়ে যেতে হয়। ১৭০০ কোটি টাকা দিয়েছি। আগামী ২বছরের মধ্যে কংক্রিটের সেতু হবে। জল পেরাতে হবে না। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর যাচ্ছি।তারেকশ্বর, কঙ্কালিতলা, কপিল মুনি মন্দির, কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির সহ বহু জায় কাজ করেছি ও ডেভলপমেন্ট বোর্ড করেছি।যারা ধর্ম নিয়ে বড় বড় কথা বলেন ,স্মামীজির বাড়ি দখল হয়ে যাচ্ছিল।আমি শুনেই অধিগ্রহনের ব্যাবস্হা করেছি। ভগ্নি নিবেদিতার বাড়ি নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনকে দিয়েছি। বাগবাজারের মাসারদার বাড়ি উদ্ধার হয়েছে।গরীবদের জন্য বাংলার বাড়ি করে দিচ্ছি।এখন কোনো সমস্যা নেই।

Read More

Latest News