ওয়েবডেস্ক- লখনউ (Lucknow) বাদশাহি খানার (Royal Food) জন্য বিখ্যাত। বিশেষ করে কাবাব। তুণ্ডে কাবাব, গালাওয়াট, কাকরি, শিক কাবাব উল্লেখযোগ্য। রন্ধন শিল্পে ঐতিহ্যের জন্য লখনউকে সৃজনশীল গ্যাস্ট্রোনমির শহর (Creative City of Gastronomy) হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো (UNESCO) । গোটা বিশ্বেই প্রশংসিত হবে লখনউ। ইউনেস্কোর স্বীকৃতির সঙ্গে সঙ্গে এই শহরের প্রেম শুধুমাত্র স্বাদেই সীমাবদ্ধ থাকল না, বরং এই শহরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, আবেগের সঙ্গে এই বাদশাহী মোগলাই খানার এই গোটা বিশ্বে সমাদৃত। লখনউয়ের এই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি উত্তরপ্রদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পর্যটন শিল্পে প্রভাব পড়বে।
বিশ্ব শহর দিবস উপলক্ষে উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরকন্দে (Samarkand) অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ৪৩তম অধিবেশনে লখনউকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনেস্কোর ‘ক্রিয়েটিভ সিটি অফ গ্যাস্ট্রোনমি’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি শহরের শতাব্দী প্রাচীন আওয়াধি রন্ধনপ্রণালী তার লখনউয়ের সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে।
পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং (Tourism and Culture Minister Jaiveer Singh) বলেছেন যে এই স্বীকৃতি কেবল লখনউয়ের রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্যকেই তুলে ধরে না বরং ভারতের উন্নয়নের গল্পে উত্তরপ্রদেশের ভূমিকাকেও শক্তিশালী করে। তিনি আরও বলেন, রন্ধনসম্পর্কীয় পর্যটন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রাজ্যে পর্যটকদের আকর্ষণ করে আসছে।
আরও পড়ুন- “বিহারী পরিচয়টাই লজ্জার…,” ভোটের আগে বিরাট মন্তব্য নীতীশের
আগামী বছরগুলিতে উত্তরপ্রদেশের এই ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দেখায় যে পর্যটন কীভাবে একটি বিকশিত উত্তরপ্রদেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতা, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশ ভারতের জন্য গৌরব বয়ে নিয়ে আসছে। লখনউয়ে এই স্বীকৃতি দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। পর্যটন ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান সচিব অমৃত অভিজাত বলেন, শহরের সমৃদ্ধ খাদ্য সংস্কৃতি দর্শনার্থীদের আকর্ষণে প্রধান ভূমিকা পালন করবে, সেই সঙ্গে পর্যটন শিল্পকে এক অন্য মাত্রা দেবে।
লখনউতে পরিবেশিত প্রতিটি থালা তার রাজকীয় রান্নাঘর, রাস্তার ধারে দোকান, বিক্রেতা এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের গল্প বলে।
২০২৪ সালে লখনউতে প্রায় ৮,২৭৪,১৫৪ জন পর্যটক এসেছিলেন, যেখানে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ৭০,২০,৪৯২ জনেরও বেশি পর্যটক এসেছিলেন। এই সংখ্যাই বলে দিচ্ছে, কীভাবে লখনউ শহর সংস্কৃতি ও পর্যটনের টানে এত মানুষ এখানে আসে।
দেখুন আরও খবর-







