Monday, November 17, 2025
HomeScrollদিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার আমিরকে আজ পেশ করা হবে NIA-র আদালতে
Red Fort Blast

দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার আমিরকে আজ পেশ করা হবে NIA-র আদালতে

বিস্ফোরণের ব্যবহার করা হয়েছিল কুখ্যাত ‘জুতা বোমা’ কৌশল?

ওয়েব ডেস্ক: দিল্লির বিস্ফোরণকে (Red Fort Blast) ‘আত্মঘাতী হামলা’ বলে নিশ্চিত করেছে এনআইএ। দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে উঠে এসে একের পর এক চাঞঅচল্যকর তথ্য। এর থেকে স্পষ্ট দেশজুড়ে বড়সড় হামলার ছক কষেছিল ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি । বিস্ফোরণের ব্যবহার করা হয়েছিল কুখ্যাত ‘জুতা বোমা’ (Shoe Bomber Umar) কৌশল? তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘাতক গাড়িতে বোঝাই করা হয়েছিল আইইডি বিস্ফোরক। এই পুরো পরিকল্পনার মূল মাথা বলে ধরা হচ্ছে চিকিৎসক উমর উন নবিকে। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ডাঃ উমর সম্ভবত এই কৌশলই ব্যবহার করেছিল।

তদন্তকারীদের দাবি, হরিয়ানার একটি মেডিক্যাল স্টোরের সিসিটিভি ফুটেজে দুটি মোবাইল হাতে দেখা গিয়েছিল উমর উন নবিকে। সেই সময় থেকেই এই ফোনগুলির থেকে তথ্য বের করাই ছিল তদন্তকারীদের উদ্দেশ্যে। উমরের সঙ্গে যুক্ত দিল্লি, ফরিদাবাদ-সহ কয়েকটি জায়গার পাঁচটি মোবাইল নম্বরের মালিককে ও সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ১০ নভেম্বরের মধ্যে ব্যবহার করা তার দুটি নতুন নম্বর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যা তদন্তকারীদের কাছে সবচেয়ে বড় মিসিং লিঙ্ক। তদন্তে জানা গিয়েছে, উমর তার ৫টি সিম কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দেয় ৩০ অক্টোবর। এনআইএ , দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ রাজধানী বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্তের শেষ গতিবিধি সনাক্ত করতে মোট ৬৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করেছেন।

আরও পড়ুন: দেওয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা ‘আমি পাগল’, ‘আমার স্বামী নির্দোষ’

ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৮০০ মিটার দূরে ধৌজ বাজারে একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় উমরের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। ৩০ অক্টোবর টাইমস্ট্যাম্প করা ফুটেজে দেখা গেছে, উমর একটি কালো ব্যাগ এবং দুটি ফোন হাতে নিয়ে একটি মেডিকেল স্টোরের ভেতরে বসে রয়েছে। ফুটেজে আরও দেখা গেছে, উমর একটি ফোন দোকানের মালিকের হাতে চার্জ দেওয়ার জন্য দিচ্ছে এবং অন্যটি তার হাতে রয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, দুটি ফোনের একসঙ্গে ব্যবহার ইঙ্গিত দেয় যে একটি নিয়মিত যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল। খলিলপুর এবং রেওয়াসান টোল প্লাজা হয়ে ফরিদাবাদ এবং শেষে দিল্লিতে উমরের গতিবিধি সনাক্ত করতে মোট ৬৫টি সিসিটিভি স্ক্যান করা হয়েছে।’

অন্যদিকে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আই২০ গাড়িটির চালকের আসনের নীচ থেকে একটি কালো রঙের স্পোর্টস শু পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই জুতো উমরের বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেই জুতোটির ভিতরে একটি ধাতব পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ওই ধাতব বস্তুটিই ছিল বিস্ফোরণের ট্রিগার। সেটির মাধ্যমেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।ফরেনসিক পরীক্ষায় ওই জুতোয় এবং গাড়িটির টায়ারে উচ্চ মানের বিস্ফোরক, TATP-র নমুনা পাওয়া গিয়েছে। গাড়ির পিছনের সিটের নীচ থেকেও বিস্ফোরকের নমুনা মিলেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত এই হোয়াইট কলার মডিউলের সদস্যরা বড় হামলার জন্য প্রচুর পরিমাণে TATP মজুত করেছিল। লালকেল্লার বিস্ফোরণে TATP এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, দুই ধরনের বিস্ফোরকই ছিল।

দেখুন ভিডিও

Read More

Latest News