Monday, December 1, 2025
HomeScrollদেশকে আন্তর্জাতিক স্তরে পদক এনে দিল সবজি বিক্রেতার ছেলে
Malda Palash Mondal

দেশকে আন্তর্জাতিক স্তরে পদক এনে দিল সবজি বিক্রেতার ছেলে

অ্যাথিলেট রেস ওয়াকিংয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে পদক মালদার পলাশ মন্ডলের

গৌতম চক্রবর্তী, মালদহ: এক সবজি বিক্রেতার ছেলে ভারতবর্ষের মুখ উজ্জ্বল করল। শুধু তাই নয় পশ্চিমবঙ্গে এর আগে কোনও অ্যাথিলেট রেস ওয়াকিং (Athlete Race Walkingএ আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও পদক (Medal International level) পাইনি। পলাশ মন্ডল (Palash Mondal) ১৫ বছর বয়স বাড়ি মালদহ জেলার বাহান্ন বিঘা গ্রামে।

এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে পলাশ। দুই বেলা ঠিক মত পেট ভরে খাওয়ার জোটে না। বাবা অন্যের জমিতে সবজি চাষ করে সেই সবজি বাজারে বিক্রি করে।

নুন আনতে পান্তা ফুরনো এই রকম পরিবার থেকে উঠে আসা পলাশ আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে। দেশ কে পদক এনে দিলেও পলাশকে নিয়ে কি রাজ্য কি কেন্দ্র কারো কোনও রকম উচ্ছাস উদ্দীপনা নেই। এমন কি মাঠে নামার আগে পায়ে যে স্পোর্স সুটা দরকার সেই জুতো জোড়া কেনার টাকা পলাশের বাবার ছিল না। দামি জুতো কিভাবে কিনবে সেই চিন্তাতেই হতাশ হয়ে পড়েছিল পলাশ। পলাশের জুতো নেই এই কথা জানতে পারে কিছু অবসরপ্রাপ্ত সরকরি কর্মচারী। ওরা সকাল বেলা বিমানবন্দরের মাঠে দাদুর পাঠশালা নামে একটি স্কুল চালান সেই স্কুলেই পলাশ প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিয়েছে। তাঁরা সকলে মিলে এগিয়ে এসে পলাশকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে স্পোর্স সু কিনে দেন। এখন তাঁরা পলাশের জন্যে একটু পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করবেন বলে জানালেন দাদুর পাঠশালার এক উদ্যোক্তা স্বপন সেন।

পলাশের কোচ অমিতাভ রায় মালদহ বিমানবন্দর মাঠে রাজ্যের প্রায় ১৪ টি জেলা বর্ধমান, নদিয়া, হুগলি, উত্তর ২৪পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরের ছেলে মেয়েরা অমিতাভ বাবুর কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

আরও পড়ুন- ৯৯% SIR কাজ সম্পূর্ণ করে দৃষ্টান্ত বাঁকুড়ার প্রতিবন্ধী বিএলওর

কোচ অমিতাভ বাবু জানালেন, এখানকার সমস্ত ছেলে মেয়েরা অত্যন্ত গরীব ঘরের খুব কষ্ট করে বাড়ি ভাড়া করে মালদহ শহরে থেকে এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এছাড়াও মালদহ জেলাতে আন্তর্জাতিক মানের কোনও মাঠ নেই।

বিমানবন্দরের মাঠটিও অনিয়মিত খোলা থাকে সরকার যদি এই সমস্ত ছেলে-মেয়েদের কথা একটু ভাবে তবে আগামীদিনে পলাশের মত বহু খেলোয়াড পাবে এই রাজ্য। কোচ অমিতাভ বাবু নিজেও একজন দক্ষ খেলোয়াড ছিলেন। সরকারি চাকরি মাঝপথে ছেড়ে এই ছেলে মেয়েদের নিয়ে দিনরাত প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন। লক্ষ্য একটাই অলিম্পিক গেমসে দেশের জন্যে এখান থেকে সেরা খেলোয়াড পাঠানো।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News