ওয়েবডেস্ক- ২০২৬ এর ভোটের (2026 Assemble Election) আগে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) শিল্যান্যাস করলেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) । যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল থেকে গতকালই দলের শৃঙ্খলভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। তবেও তাতে দমলেন না ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আজ কড়া নিরাপত্তায় নিজের অনুগামীদের নিয়ে বাবরি মসজিদ-এর শিলান্যাস স্থাপন করলেন তিনি। এই নিয়ে হুমায়ুন কবীরের এই কাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় মন্দির, মসজিদ, গির্জা বা আরাধনার জায়গা তৈরি করতেই পারেন। এর জন্য তাঁর প্রতি কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কোনওদিন তৃণমূল কংগ্রেস করেনি গ্রহণ বা ভবিষ্যতেও করবে না।
কিন্তু যদি কোনও ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের ফাঁদে পড়ে বা কারুর দ্বারা প্ররোচিত হয়ে, ধর্মের মোড়কে রাজনৈতিক অঙ্কে সেই ধর্মকেন্দ্রিক কোনও ইভেন্টকে দিয়ে রাজনীতির বিষাক্ত মেরুকরণের মায়াজাল তৈরি করতে চান, এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে। দল বিরোধী কাজ করেন, দলকে পর্যুদস্ত বা বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্ট করেন, সেক্ষেত্রে বিষয়টা আর ধর্মের বলে থাকে না।
আরও পড়ুন- ‘বাবরি মসজিদের’ শিলান্যাস হুমায়ুনের
উল্লেখ্য, আজ বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করলেন হুমায়ুন কবির। রীতিমতো ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন তিনি। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন ছিল। সেই ৬ ডিসেম্বর দিনটিকেই শিলান্যাসের দিন হিসেবে বেছে নিলেন হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় এদিন সকাল থেকেই ছিল উপচে ভরা ভিড়। ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের ভিড় বাড়াতে থাকেন হুমায়ুন অনুগামীরা। অবশেষে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় স্থাপিত হল বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর। মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা পরস্পরকে কোলাকুলি করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর শুভেচ্ছা জানান। বলা যায় রাজ্য সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শিল্যান্যাস করলেন হুমায়ুন কবীর। এর পরে চওড়া হাসি হাসলেন তিনি।
দেখুন আরও খবর-







