স্পোর্টস ডেস্ক: সেন্ট জেমসেস পার্কে (St James’ Park) নিউকাসল বনাম লিভারপুল (Newcastle Utd vs Liverpool FC) ম্যাচ হাড্ডাহাড্ডি হবে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তা এত নাটকীয়, এত উত্তেজনাপূর্ণ হবে তা ভাবা যায়নি। পাঁচটা গোল, লাল কার্ড, একজন কমে ‘কাম ব্যাক’, সংযুক্ত সময়ে জয়সূচক গোল, থ্রিলার সিনেমার যাবতীয় উপাদান মজুত ছিল এ ম্যাচে। প্রিমিয়ারকে লিগ এমনি এমনি পৃথিবীর জনপ্রিয়তম ঘরোয়া ফুটবল প্রতিযোগিতা ধরা হয় না।
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত শুরু করেছিল নিউকাসল। প্রথম আধঘণ্টায় অন্তত এক গোলে এগিয়ে যেতে পারত তারা। উল্টে খেলার গতির বিপরীতে ৩৫ মিনিটে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন রায়ান গ্রাভেনবার্চ। এডি হাওয়ের নিউকাসল আরও চাপে পড়ে যায় প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে। বিশ্রী ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন তারকা ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি গর্ডন (Anthony Gordon)।
আরও পড়ুন: প্রিমিয়ার লিগে এখনও জয় পেল না ম্যান ইউ, হার ম্যান সিটির
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই নিউকাসলের কফিনে দ্বিতীয় পেরেক ঠোকেন লিভারপুলের নবাগত স্ট্রাইকার হুগো একিতিকে। খেলার ওখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নিউকাসলের খেলোয়াড়রা বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়তে চাননি। ৫৭ মিনিটে ব্যবধান কমান ব্রুনো গুইমারায়েশ। নিউকাসল সমর্থকরা আশাবাদী হয়ে পড়ে। ৮৮ মিনিটে সাদা-কালোদের হয়ে সমতা ফিরিয়ে দেন উইলিয়াম ওসুলা।
দশজনে খেলা একটা দল লিভারপুলের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ০-২ পিছিয়ে থেকে সমতা ফেরানো সহজ ব্যাপার নয়। সেন্ট জেমসেস পার্ক তখন উত্তেজনায় কাঁপছে। আর একটা গোল করে ‘পারফেক্ট ক্লাইম্যাক্স’ করার চেষ্টা করতে লাগলেন নিউকাসলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু হল অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স। পরিবর্ত হিসেবে নামা লিভারপুলের ১৬ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড রিও এনগুমোহা জয়সূচক গোল করল, তাও ৯০+১০ মিনিটে। এ ম্যাচের আগে যার নাম কেউ জানত না, এখন সে-ই সংবাদের শিরোনামে।
দেখুন অন্য খবর: