ওয়েব ডেস্ক: তিতাস শুধুমাত্র একটি নদী নয়, একটি মেয়েরও নাম। বাইশ গজে বারবার আগুন পারফর্ম করে আপামর বাঙালিকে গর্বিত করেছে বাংলার এই তরুণী ক্রিকেটার। আজ যখন ডব্লিউপিএল-এর নিলামের (WPL Auction 2026) আসর বসেছে, তখন তাঁর হুগলির (Hooghly) বাড়িতে অধীর আগ্রহে বসে রয়েছেন তাঁর মা-বাবা। আশা ছিল, মেয়ের কপাল খুলবে। হলও তেমনটাই। মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগের নিলামে ৩০ লক্ষ টাকায় তিতাস সাধুকে (Titas Sadhu) দলে নিল গুজরাত জায়ান্টস (Gujarat Giants)।
তবে শুধুমাত্র ক্রিকেট নয়, হুগলির তিতাসকে বহুমুখী প্রতিভার এক প্রতিচ্ছবি বললেও খুব একটা ভুল হবে না। ছোটবেলা থেকেই দৌড়, সাঁতার, টেবিল টেনিস—সব ক্ষেত্রেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। রাজ্য স্তরের অ্যাথলিট বাবা রণদীপ সাধুর অনুপ্রেরণায় তিতাসের ক্রীড়াজীবনের শুরু স্প্রিন্টার হিসেবে। পরে সাঁতার, টেবিল টেনিসে একইভাবে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে তিতাস একজন ‘অলরাউন্ড স্পোর্টস পার্সন’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: WPL নিলামে কোটিপতি দীপ্তি শর্মা! আর কে কত দাম পেলেন?
কিন্তু ভাগ্য তাঁকে টেনে আনে ক্রিকেটে। মহসিন কলেজের কাছে রাজেন্দ্র স্মৃতি সংঘেই প্রথম ব্যাট-বলের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মাত্র চার ওভার বোলিং করেই ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে তিতাস সারা দেশের নজর কেড়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এশিয়ান গেমসের মেগা ফাইনালেও চার ওভারে তুলে নেন ৩ উইকেট। বাংলার এই মেয়েকে তখনই জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ হিসেবে ভাবা শুরু করেন নির্বাচকরা। তবে শুধু খেলাধুলা নয়, পড়াশোনাতেও সমান মনোযোগী তিতাস। মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি।
আর এবার মহিলাদের ডব্লিউপিএলে যোগ্য সম্মান পেলেন তিতাস। গুজরাত জায়ান্টস তাঁকে ৩০ লক্ষ টাকায় দলে তুলে নেয়। তারপর থেকেই বাংলার এই ‘সোনার মেয়ে’কে ফের বাইশ গজে আগুন ঝরাতে দেখার জন্য কাউন্টডাউন শুরু করে দিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
দেখুন আরও খবর:







