ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলের (Kolkata Police Constable) নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের (Haroa Rape Case) অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই ইউটিউবার, বাবা ও ছেলে, জেল হেফাজতে রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনার মধ্যেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, কারণ হাইকোর্টের আইনজীবী সংগীতা দাস জানার পক্ষ থেকে ওই পুলিশকর্মী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী সংগীতা দাস জানা হাড়োয়া থানায় দাখিল করা পাঁচ পাতার অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন, যে পুলিশকর্মীর মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ইউটিউবারকে জেলে পাঠানো হয়েছে, সেই বাবা-মাই দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মেয়েকে অনলাইনে রিলস ও ভিডিও বানানোর মাধ্যমে দেহ ব্যবসার কাজে লাগিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, একজন মেয়ে যদি নাবালিকা হয়, তবে বাবা-মা কীভাবে তাঁকে সারাদিন মোবাইল হাতে রেখে ব্যবসা করতে দিলেন? এদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: বোনের দেহ মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ সুন্দরবনে, গ্রেফতার স্বামী-শ্বশুর
এই অভিযোগের পর হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে, যেখানে আবেদন জানানো হয়েছে যে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্ত রাখা হোক এবং কোনও সরকারি দায়িত্ব পালন করতে না দেওয়া হোক।
অন্যদিকে, স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে যে দুই ইউটিউবারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মোবাইল ফোন এবং সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলি ইতিমধ্যেই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: