পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথিতে (Kathi) মার্ডার কেসের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ স্থানীয় হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে কাঠগড়ায় দারোয়া মহাকুমা হাসপাতাল। ওটি’র সামনে মরণাপন্ন রোগী, প্রায় আধঘণ্টা ডাকাডাকি করার পর খুলল ওটি’র দরজা।
সূত্রের খবর, কাঁথিতে মার্ডার কেসের ঘটনায় হাসপাতালে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবার ও আত্মীয়দের। নলিকাটা অবস্থায় আধ ঘণ্টা ধরে রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসক যথাসময়ে পৌঁছালেও অপারেশন থিয়েটার খোলা হয়নি। তখন ভেতরে ঘুমোচ্ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মী। কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ওয়ার্ডের ভেতরের দায়িত্বে ছিলেন যিনি তিনি ঘুমাচ্ছিলেন, এমনটাই দাবি মৃতের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের।
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা আনতে কী দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
জানা গিয়েছে, মুমূর্ষু রোগীকে ওয়ার্ডের বাইরে ফেলে রেখে রীতিমতো ডাকাডাকি করতে থাকেন রোগীর আত্মীয়রা। অনেক চেঁচামিচির পরও ঘুম ভাঙেনি ওয়ার্ড ইউনিটের স্বাস্থ্যকর্মীর। আধ ঘণ্টার পর যখন উঠলেন তখন সব শেষ। মৃত্যু হয় যুবক আজগর মল্লিকের। তাঁদের অভিযোগ হাসপাতালের পরিষেবা দিন দিন খারাপ হতে হতে চরম জায়গায় পৌঁছাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগে ভুল ইনজেকশনে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় হাসপাতালে। ফের গত রাতে এই ধরনের ঘটনায়, প্রতিবাদ মুখর হয়েছে এলাকার মানুষজন। এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানিয়েছেন, তার কাছে এরকম কোন অভিযোগ নেই, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
দেখুন আরও খবর: