ওয়েব ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (Depression) তৈরির পূর্বাভাস পাওয়ার পরই বেড়েছিল দুর্যোগের আশঙ্কা (Weather Forecast)। কারণ, বিগত কয়েকবছরে এই সময়েই আয়লা, আমফান-এর মতো ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়ের (Storm) সাক্ষী থেকেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ। তাই এবারেও আগেভাগে সতর্ক হয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছিল জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে, সক্রিয় করা হয়েছিল আয়লা সেন্টারগুলিকে, বন্যা দুর্গত মোতায়েন করা হয়েছিল সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের।
তবে নিম্নচাপ স্থলভাগে প্রবেশ করার সাথেই স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ছয় ঘন্টায় বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থানকারী গভীর নিম্নচাপ। অধি দফতর জানাচ্ছে, বর্তমানে এটি একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাংলাদেশের ২৪.১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: বাংলার কতটা কাছে নিম্নচাপ? ভাসবে কোন কোন জায়গা?
হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, বর্তমানে সিস্টেমটি টাঙ্গাইল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, ঢাকা থেকে ১১০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমে এবং বহরমপুর থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তাই ঘূর্ণিঝড় বা বড়সড় দুর্যোগের আশঙ্কা আপাতত নেই বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
তবে বৃষ্টি হতে পারে ভারী মাত্রায়। কারণ, নিম্নচাপের হাত ধরে এবছর সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গে চলছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি, আর উত্তরবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষার ভারী বর্ষণ। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। আলিপুরদুয়ারে শুক্রবার জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় ধস নামার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বাড়তে পারে নদীর জলস্তরও।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনের গঙ্গাসাগর, মৌসুনি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, কুলতলি প্রভৃতি এলাকায় নিম্নচাপ ও জলোচ্ছ্বাসের জেরে নোনা জল ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। বেহাল মাটির বাঁধগুলি যেকোনও সময় ধসে পড়তে পারে। যদিও প্রশাসনের তরফে সমস্তরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: