Friday, August 22, 2025
HomeScrollমৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা সঞ্জয়ের আইনজীবীর

মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা সঞ্জয়ের আইনজীবীর

কলকাতা: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এই ঘটনা বিরলের চেয়ে বিরলতম উল্লেখ করে সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এবার সঞ্জয়ের আইনজীবী আদালতে এই দাবির বিরোধিতা করে জানান, এর চেয়েও বিরলতম ঘটনার সাক্ষী রয়েছে গোটা ভারতবর্ষ। তাই মৃত্যুদণ্ডের সাজা তাকে না দেওয়াই উচিত।

সিবিআইয়ের তরফ থেকে সাফ দাবি, নির্যাতিতা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তার পরিবার নিজেদের মেয়ে নয়, সমাজ একজন ডাক্তার হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আদালতের তরফ থেকে আরও দাবি করা হচ্ছে, সেই চিকিৎসক সেদিন টানা ৩৬ ঘন্টা কাজ করার পর তাঁকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই নয়, নির্যাতিতার বাবা-মা, চিকিৎসক সবাই সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করেছেন। অন্যদিকে, আজ জেলা সফরের জন্য বেড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। সফরের জন্য বেড়িয়ে বিমানবন্দর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আমিও এই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের দাবি করছি’। অন্যদিকে, সঞ্জয়ের আইনজীবী জানান এর চেয়েও বিরলতম ঘটনার সাক্ষী রয়েছে দেশ। কিন্তু তাদেরকেও ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়নি। তাই ধৃত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হক কিন্তু ফাঁসি নয় বলে আদালতে দাবি সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীর।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন সিবিআইয়ের

উল্লেখ্য, ২০২৪ এর ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় এক জুনিয়র চিকিৎসককে ওঠে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। আর তারপর থেকেই উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। দিকে দিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের ডাকে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রাত জাগেন সকলেই। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, বঙ্গ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় প্রতিবাদের আঁচ। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে সঞ্জয় রায়কে। পরে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ অভিজিৎ মন্ডলকে। কিন্তু সিবিআই ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও সঠিক চার্জশিট তাদের বিরুদ্ধে জমা দিতে না পারায় এই কেস থেকে অব্যাহতি পান তারা।

Read More

Latest News