ওয়েব ডেস্ক: মৌনী অমাবস্যার রাতে মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়। কান্নার রোলে আনন্দের কুম্ভমেলাতেও যেন শোনা গিয়েছে বিষাদের সুর। এই পদপিষ্টের (Stampede) ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কর্নাটকের (Karnataka) বেলাগাভির তরুণী মেঘা এবং তাঁর মায়ের। জানা গিয়েছে, মেঘা দীপক হাতারওয়াত কর্নাটক থেকে সঙ্গমস্থলে এসেছিলেন শাহি স্নানের জন্য এসেছিলেন। তাঁর লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে কুম্ভমেলার ভিড়ের পরিস্থিতি সরাসরি তুলে ধরছিলেন। তিনি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন পুণ্যার্থীদের, বলেছিলেন, “এখন কুম্ভমেলায় লাখ লাখ পুণ্যার্থী সঙ্গমস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভিড় এতটাই বিপুল যে, আসার আগে একবার ভাবুন। যদি আসেন, তবে পরিবারের সদস্যদের কেউ কারও হাত ছাড়বেন না।”
তবে, মেঘার ওই সতর্কতা শুনে একে একে পুণ্যার্থীরা সঙ্গমস্থলের দিকে এগিয়ে যান এবং রাত ১০টা থেকে ভিড় দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না এবং রাত ১২টার মধ্যে বিশাল জনস্রোত ৫০০ মিটারের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ভিড় এতটাই বেড়ে যায় যে, মাটিতে শুয়ে থাকা পুণ্যার্থীদের উপর দিয়ে হেঁটে যায় জনস্রোত। এই পরিস্থিতিতে পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভেই অন্তিম যাত্রা! পদপিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু শালবনির মহিলার
নিহতদের মধ্যেই ছিলেন মেঘা এবং তাঁর মা। মেঘার আত্মীয়রা জানান, সে খুব খুশি ছিল এবং ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিল। তবে, কুম্ভমেলার ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাঁর এবং তাঁর মায়ের মৃত্যু গোটা পরিবার ও সমাজকে শোকের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছে।
বিশাল জনসমাবেশের মধ্যে ভিড়ের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। যদিও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তবে সঠিকভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী সঙ্গমস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, যার ফলে শাহী স্নান উপলক্ষে হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি এবং পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
দেখুন আরও খবর: