বারুইপুর: চম্পাহাটি (Champahati Voter) পঞ্চায়েতে ভোটার তালিকায় ভুতুড়ে কান্ড। প্রতিটি বুথেই নতুন ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে প্রচুর পরিমাণে। কোথাও ২০০, ৩০০ তো কোথাও আরও বেশি। নতুন ভোটারদের অর্ধেকেরই কোনও অস্তিত্ব মিলছে না। অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি এলাকার ভোটার তালিকায় মালদহ, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ির বাসিন্দার নাম রয়েছে।
মহারাষ্ট্র ও দিল্লির ভোটে অস্বাভাবিক হারে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে তথ্য সহ অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ করেছেন প্রকৃতদের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে। এই আবহেই বারুইপুরের চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকা স্কুটিনি করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ভুতুড়ে কাণ্ড। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ির লোকজনের নাম উঠে এসেছে ভোটার তালিকায়। চাঞ্চল্যকর ভাবে একই ফোন নম্বর যুক্ত আছে চার-পাঁচজনের নামে, যা খোঁজ করতে গিয়ে বিস্মিত হয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে সদস্যরা। বিধানসভা ভোটের আগে এই কাণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আরও পড়ুন: পরিচারিকার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মালিকের বিরুদ্ধে
সূত্রের খবর,গত লোকসভা ভোটে পঞ্চায়েত এলাকার ভোটার সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা গিয়েছে ভোটার বেড়ে হয়ে গিয়েছে ২২ হাজার ৪০০। এরপর স্কুটিনি করতে গিয়ে ভুতুড়ে ব্যাপার হয়েছে। পঞ্চায়েতের ২২টি সংসদের মধ্যে কোনও বুথে বেড়ে গিয়েছে ২০০ ভোটার। আবার কোনও বুথে বেড়েছে ৩০০ ভোটার। ভোটার তালিকা ধরে স্কুটিনি করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথে গত লোকসভা ভোটে ভোটার সংখ্যা ছিল ১০৫৩ জন। এবার তা অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়ে ১৩৫৭ জন হয়েছে। যাঁদের এলাকায় কোনও অস্তিত্ব নেই। এদের কারুর বয়স ৬৬ বছর, কারর বা ৬০ বছর বয়স। সনকা মাঝি বলে এক ভোটারের ফোন নম্বর খুঁজে পাওয়া যায়। তাতে ফোন করলে মালদার এক যুবক ফোন ধরেছে। সে সাইবার কাফে চালায়। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে এই ঘটনা ঘটেছে। পালটা তৃণমূলের দাবি, নির্বাচন কমিশন বিজেপি নিয়ন্ত্রিত। তাই তারাই তালিকায় ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়েছে।
অন্য খবর দেখুন