ওয়েব ডেস্ক: মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সমুদ্রমুখী আকর্ষণীয় ‘মন্নাত'(Mannat) প্রাসাদটি শাহরুখ খানের(Sharukh Khan)। লক্ষ লক্ষ ভক্তদের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কয়েক মাস আগে খবরে প্রকাশ যে গত মে-মাস থেকে বছর দুয়েকের জন্য এই ২৭ হাজার বর্গফুটের এই প্রাসাদে চলছে সংস্কারের কাজ।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বলিউড বাদশা তার বাংলোর মালিকানার রূপান্তর প্রিমিয়াম গণনায় ত্রুটির কারণে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে ন’ কোটি টাকা ফেরত পাবেন। যেকোনো সম্পত্তি কিংবা স্থান বা স্থাপনা ঐতিহ্যবাহী মর্যাদা লাভ করে যদি এর স্থাপত্য সাংস্কৃতিক বা ঐতিহাসিক তাৎপর্য থাকে। ১৯১৪ সালে তৈরি ‘মন্নাত’ মুম্বইয়ের একটি হেরিটেজ বিল্ডিং।
উল্লেখ্য, বলিউড বাদশার এই বিলাসবহুল বাড়িতে সংস্কারের সময় নাকি উপকূলবর্তী এলাকার নিয়ম-কানুন মানা হয়নি। সেই কারণেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছেন বৃহন্মুম্বই পুরসভা এবং বনদপ্তরের আধিকারিকরা। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার তারা শাহরুখের মন্নতে হানা দেন।
শাহরুখ খানের পরিবার ছাড়াও তার দিদি এই বাংলোতে থাকেন। আর সেই কারণেই জায়গা বাড়াতে ‘মন্নাত’কে আটতলা করে তুলতে চান খান পরিবার। কিন্তু জনৈক্য সমাজকর্মীর ‘নিয়ম না মেনে মন্নাত সংস্কার করা হচ্ছে’ অভিযোগের ভিত্তিতে আধিকারিকরা মন্নাতে হানা দেন। তাদের দাবি শাহরুখ খান হেরিটেজ নিয়ম ভেঙেছেন। মন্নাতকে নাকি আটতলা করার অনুমতিই ছিল না। তাদের দাবি পুরসভা কর্তৃপক্ষের সায় না থাকলে এই কাজ করা সম্ভব নয়! এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আধিকারিকরা শুক্রবার মন্নাতে হানা দেন। সরেজমিনে তারা খতিয়ে দেখেন। এর ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। অবশ্য শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি ‘নিয়ম না মানা’র অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেন। এখন আধিকারিকরা কি রিপোর্ট জমা দেন সেটার জন্য সবাই অপেক্ষা করছেন।