ওয়েব ডেস্ক: ১৬ অগাস্ট মাঝরাত, ভোপালের (Bhopal) উপকণ্ঠে ঘুমিয়ে ছিল জগদীশপুরা গ্রাম। বাইরে থেকে দেখলে সাধারণ মনে হলেও, এই গ্রামের ভেতরেই লুকিয়েছিল এক ভয়ঙ্কর রহস্য। কারণ, গ্রামের ১১ নম্বর বাড়ির লোহার গেটের আড়ালে চলছিল বহুমূল্য সিন্থেটিক মাদক তৈরির কারখানা (Synthetic Drug Factory)। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই মাদক কারখানা নাকি নিয়ন্ত্রণ করে কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। এই গ্রামে চালানো এক সাধারণ তল্লাশি অভিযানে পর্দাফাঁস হয় এই মাদক জগতের।
জানা যায়, দেশের স্বাধীনতা দিবসের পরের রাতে রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের হানায় জগদীশপুরা গ্রামের ১১ নম্বর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৬১.২০ কেজি তরল মেফেড্রোন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৯২ কোটি টাকা। এছাড়াও সেই বাড়িতে মজুত ছিল ৫৪১ কেজিরও বেশি কাঁচামাল, যা দিয়ে গোটা দেশকে মাদকাচ্ছন্ন করা সম্ভব। তদন্তকারীদের মতে, মধ্যপ্রদেশকে ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মাদক উৎপাদনের ঘাঁটি বানাতে চাইছিল দাউদ পরিচালিত ডি-কোম্পানি (D-Company)।
আরও পড়ুন: চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ! ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে ফের নারকীয় ঘটনা
জগদীশপুরার ওই বাড়িতে কোনও সাধারণ কারখানা ছিল না। ভিতরে পাওয়া গেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল-গ্রেড মেশিন, কেমিক্যাল রিয়্যাক্টর ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ চেম্বার। অবাক করার মতো বিষয়—এই বাড়ি সাত বছর ধরে পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু ১৪ অগাস্ট, অর্থাৎ হানার মাত্র দু’দিন আগে, আশ্চর্যজনকভাবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেখানে নতুন বিদ্যুতের মিটার বসে যায়। কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ ছাড়া এটা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। তাই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। এই সূত্র ধরে দাউদের অন্য ঘাঁটিতে পৌঁছনোর চেষ্টাও চালানো হচ্ছে বলেই খবর।
এক সময় মুম্বইয়ের গলিপথ কাঁপত দাউদ ইব্রাহিমের তাণ্ডবে। চাঁদাবাজি, খুনখারাপি, দাপট—সবই ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু প্রশাসন কড়া হাতে সেসব দমন শুরু করত চুপিসারে খেলা ঘুরিয়ে দেয় ডি-গ্যাং। এখন পাকিস্তান ও দুবাই থেকে আসছে টাকা, আর ভারতের বুকে লুকিয়ে মাদক তৈরি ও পাচারচক্র চালাচ্ছে ডি-গ্যাং।
দেখুন আরও খবর: