ওয়েব ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ কবলিত এলাকায় বিজেপি নেতাদের ওপর হামলার পরেই সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে নাগরাকাটা ও জলপাইগুড়ি জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই তিনি সংযম ও ঐক্যের বার্তা দেন। তাঁর কথায়, ‘এই সময় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা কাম্য নয়।’
বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। পরিদর্শনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গিয়েছেন রাজ্যপালও। তবে সোমবার দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ ও বিজেপি বিধায়ক। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছন। নাগরাকাটায় দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। বার্তা দেন পাশে থাকার। সেখান থেকেই মমতার স্পষ্ট বার্তা, ”রাজনীতি ভুলে এই সময় দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”
আরও পড়ুন: ম্যান মেড পরিকল্পিত বন্যা! বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী, কী কী পদক্ষেপ?
ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শঙ্কর ঘোষ, খগেন মুর্মু সহ বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা। সেখানে গিয়ে মারধরের মুখে পড়েন তাঁরা। এলাকার কিছু মানুষের গুন্ডামির মুখে নাকাল হন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। প্রবল আঘাত ও মারে মাথা ফেটে যায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। রক্তে সারা মুখ ভিজে যায় তাঁর। পিছন থেকে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ধাক্কা মারা হয়। কিন্তু এরা কারা, কোনও দলের সমর্থক কিনা, এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি। নাগরাকাটার বামনডাঙা যাওয়ার মুখে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়িতে পাথর, জুতো, লাঠি ছোড়া হয়। বিক্ষোভের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদরা। পিছনে তৃণমূল আছে, অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা।
দেখুন খবর: