ওয়েব ডেস্ক: ভূমিধসের (Landslide in North Bengal) ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পাহাড়। রবিবার দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল (Darjeeling Tiger Hill), সান্দাকফু ও রক গার্ডেনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জিটিএ (GTA)। তবে সোমবার সকালেই পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল হওয়ায় সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে (North Bengal Weather Update)।
রবিবার রাত পর্যন্ত জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছিল, পাহাড়ের একাধিক রাস্তায় ধস নামায় পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওইসব এলাকা আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে আবহাওয়ার খানিক উন্নতি হওয়ায় পর্যটনকেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকেই ফের দার্জিলিং ও কালিম্পংমুখী পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবে পাহাড়ের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি। গ্যাংটক ও দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি ফেরার গাড়ি ভাড়া ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পর্যটকদের। আবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কলকাতাগামী বিমানের ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার টাকায়। কেন এই অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি, তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা মেলেনি। অনেক পর্যটক জানিয়েছেন, বিমান ও গাড়ি দু’য়ের ভাড়াই হঠাৎ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন ফেরার পথে থাকা মানুষজন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা, উত্তরে কমছে দুর্যোগ
পাহাড়ে একাধিক জায়গায় ধসের কারণে নিরাপত্তার খাতিরে জয়রাইড ছাড়া টয় ট্রেন পরিষেবা আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ট্র্যাক পরিষ্কার ও মেরামতির কাজ চলছে, আবহাওয়া স্থিতিশীল হলে পরিষেবা ফের চালু করা হবে।
ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলির সূত্রে খবর, সোমবার থেকেই কয়েকশো পর্যটক দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে পৌঁছেছেন। তবে রবিবারের ধসের অভিজ্ঞতা অনেকের মনেই ভয় রেখে গেছে। অনেক পর্যটক ভ্রমণ সূচি সংক্ষিপ্ত করে শিলিগুড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।
রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, “আটকে পড়ার মতো পরিস্থিতি এখন নেই। সব রাস্তা খুলে গেছে। পর্যটকদের আমরা বলছি নির্ভয়ে দার্জিলিং ও কালিম্পং ভ্রমণ করুন।” তিনি আরও জানান, “গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে দার্জিলিংয়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র রবিবারের জন্য ছিল। বিমান ভাড়া নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
দেখুন আরও খবর: