ওয়েব ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জামালপুর ব্লকের পাঁচড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাবিত্রী টুডু সাঁতরা (Savitri Tudu Santra) নামটি আজ গ্রামের মানুষের মুখে মুখে। কারণ, তিনি ক্ষমতার চেয়ারে বসে থেকেও একদিনের জন্য ভুলে যাননি তাঁর মূল পরিচয়। পঞ্চায়েতের (Panchayat) পদে থাকা সত্ত্বেও তিনি আজও একজন সাধারণ দিনমজুর শ্রমিক।
টিনের ছাউনির ছোট্ট ঘরে ছেলে অর্ককে নিয়ে কোনওমতে দিন গুজরান করেন সাবিত্রী। বর্ষায় ছাউনি ভেদ করে বৃষ্টির জল পড়ে ঘরে, তবু জীবনের ঝড় তাঁকে দমাতে পারেনি। ভোর থেকেই শুরু হয় তার রোজনামচা। মাঠে বীজ রোপণ থেকে ধান কাটা—সবই নিজের হাতে করেন এই উপপ্রধান। এরপরই আবার ছুটে যান পঞ্চায়েতে, মানুষের সমস্যার সমাধান করতে।
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকায় বড়সড় গড়মিল! দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে গোটা গ্রাম
চার বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই সংসারের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। অভাবের সংসার চালাতে দিনমজুরের কাজই ছিল ভরসা। আজও সেটাই তাঁর প্রধান পেশা। উপপ্রধানের চেয়ার তাঁর জীবনে ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব। তাই অর্থের লোভ তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোবার অবস্থাতেও অসৎ পথ বেছে নেননি কখনও। ছেলে অর্ক এখন স্থানীয় স্কুলের একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। মায়ের কষ্টের কথা সে বোঝে। সাবিত্রী চান—ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে।
যখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের বহু নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে, বিরোধীরা ‘কাটমানি’র ইস্যুতে সরব হয়েছে—ঠিক সেই সময়ে সাবিত্রী টুডু সাঁতরা যেন এক আলাদা দৃষ্টান্ত। তাঁর সততা ও সরলতা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
দেখুন আরও খবর:







