ওয়েবডেস্ক- ১০ হাজার (Ten Thousand) টাকা দিয়ে ভোট কেনা হয়েছে। ভোটের (Bihar Assemble Election) ঠিক আগে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে (Women Account) ১০,০০০ টাকা জমা করা দুর্নীতি। বিহার ভোট নিয়ে এবার বড়সড় অভিযোগ করলেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Senior NCP leader Sharad Pawar) । সংসদ অধিবেশন চলাকালীন বিরোধী দলগুলি এই বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দেবে।
শরদ পাওয়ার বলেন, এনডিএ মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছে, আর সেই কারণেই এই জয় হয়েছে। নির্বাচনের ঠিক আগে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যা এক প্রকারের দুর্নীতি। এই কাজটি করেছে রাজ্যের সরকার। এর ফল তারা পেয়েছে। আমরা তা মেনে নিচ্ছি।”
উল্লেখ্য, বিহার ভোটের আগে কল্পতরুর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল নীতীশ কুমারকে। গত ২৯ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে মহিলাদের জন্য এই যোজনা চালু করার অনুমোদন দেন তিনি। শুরুতেই ৭৫ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টে জমা করা হয় ১০ হাজার করে টাকা। এর ফলে ফিকে পড়ে যায়, তেজস্বী যাদবের মাসে ২৫০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি৷
বিহারের মতো অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রাজ্যে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা আসা কম কম কথা নয়। কারণ গোটা দেশের মধ্যে মাথা পিছু আয় সব থেকে কম এই রাজ্যের।
আরও পড়ুন- ফের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই? শপথ কবে?
ভোটের আগে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিহারে মহাগঠবন্ধন সরকার ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করে। ভোট আসতে আসতে সেই আওয়াজ প্রাসঙ্গিতা হারিয়ে ফেলে। রাহুলের ‘ভোট চুরি’ প্রচারও যে জনমানসে সেই রকম ছাপ ফেলতে পারেনি। কাজেই এই সমস্ত কিছুকেই ছাপিয়ে নীতীশের একের পর এক জনমুখী প্রকল্কের ঘোষণা। সেখানে মহিলা অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচনের ঠিক আগে সরকারকে এই প্রকল্প চালু করার কেন অনুমতি দিল নির্বাচন কমিশন? এবার এই নিয়ে সরব হলেন শরদ পাওয়ার।
দেখুন আরও খবর-







