Wednesday, October 15, 2025
HomeBig newsদুর্গাপুর কাণ্ডে নয়া মোড়, গ্রেফতার নির্যাতিতার বন্ধু
Durgapur

দুর্গাপুর কাণ্ডে নয়া মোড়, গ্রেফতার নির্যাতিতার বন্ধু

আজ নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দির পরে গ্রেফতার, আগামীকাল ‘বন্ধু’কে কোর্টে পেশ

ওয়েবডেস্ক-  দুর্গাপুর কাণ্ডে ( Durgapur Incident) নয়া মোড়, গ্রেফতার নির্যাতিতার বন্ধু (Arrest Victims Friend) । আজই ঘটনাস্থলে বন্ধুকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন পুলিশ (Police reconstructed the incident) । আগামীকাল তাকে আদালতে (Court)  তোলা হবে।

দুর্গাপুর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রথম থেকেই নির্যাতিতার এই বন্ধুর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ ছিল পুলিশের। তাই তাকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার দিন নির্যাতিতার তার ওই পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে সন্ধ্যার ৮ দিকে রুটি কিনতে গিয়েছিলেন। তখনই প্রথমে তিনজন ওই তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় বলে। তার পর আরও দুজন আসে ঘটনাস্থলে।  সেই সময় তার পুরুষ বন্ধুটি পালিয়ে যায়।

কেনো সে পালিয়ে গেল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কলেজ থেকে বা আশেপাশ থেকে কেনো কাউকে সে ডেকে নিয়ে এল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

ঘটনার পর থেকেই বন্ধুকে তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পরে মঙ্গলবার নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেন ম্যাজিস্ট্রেট। তবে সূত্রের খবর, প্রথম দিন যে অভিযোগ পত্র নির্যাতিতা দেন, সেখানে সহপাঠীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না। মঙ্গলবার গোপন জবানবন্দি দেওয়ার সময় বেশ কিছু অভিযোগ নির্যাতিতা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার  করে পুলিশ।  আগেই ১৬১ ধারা ছিল। এবার ১৬৪ ধারায় পুরুষ বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন-  ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রাজ্যের, কারণ কী?

প্রসঙ্গত, আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল চৌধুরী (Asansol-Durgapur Police Commissionerate Commissioner Sunil Chowdhury)  এক সাংবাদিক বৈঠক করেন। দুর্গাপুরের মেডিক্যাল পড়ুয়া নির্যাতনকাণ্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাংবাদিকদের সামনে আনেন। তিনি জানান, ঘটনায় পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নির্যাতিতার বন্ধুর পোশাকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ধর্ষণ করেছে বলে জানা গিয়েছে, তবে বাকিদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কমিশনার জানান, “বন্ধুর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। তাঁকেও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাই তার জামা কাপড় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে নির্যাতিতার মোবাইল ফোন। কমিশনার জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২), ৩০৮(২) এবং ৩১৮(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে। কমিশনার সুনীল চৌধুরী জানিয়েছেন, আমরা নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি। তাদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছি।

কমিশনার বলেন, “আমরা ভিক্টিমের পরিবারের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসন তাঁদের পাশে আছে।”

 

দেখুন ভিডিও-

 

 

Read More

Latest News