পানিহাটি: এসআইআর আতঙ্কে ভুগছে বঙ্গবাসী। কোথাও আত্মহত্যা আবার কোথাও আত্মহত্যার চেষ্ঠা। গতকালের পর আজ আবারও এই ছবি বাংলার। পানিহাটির পর এবার কোচবিহার। তবে বুধবার পানিহাটি পৌঁছে এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পানিহাটির প্রদীপ করের মৃত্যুর দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের। মৃতের বাড়িতে দাঁড়িয়ে এভাবেই ফের ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পানিহাটিতে ‘NRC আতঙ্কে’ মৃত প্রৌঢ় প্রদীপ করের বাড়িতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মৃতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বছর সাতান্নর প্রদীপ কর উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির মহাজাতি নগরের বাসিন্দা ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন, দেহের পাশে মিলেছে সুইসাইড নোট। তাতে নাকি লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী এনআরসি’। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বলেন, ‘বিজেপির ভয় ও বিভাজনের রাজনীতির ফল এই মৃত্যু।’
আরও পড়ুন: এসআইআর আতঙ্ক! আত্মহত্যার চেষ্ঠা কোচবিহারের বাসিন্দার
সেখান থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অমিত শাহ ও জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, “জ্ঞানেশ কুমার, শাহের বাবা-ঠাকুরদার নাম আছে ভোটার লিস্টে? ওরা কোন সাহসে এতগুলো মানুষকে হেনস্তা করছে?” এরপরই সার্টিফিকেট চাইলে বেঁধে রাখার নিদান দেন অভিষেক। এরপর বলেন, “প্রদীপবাবুর মৃত্যুর দায় শাহ আর জ্ঞানেশ কুমারের। শাস্তি ওদের দেবই।” পাশাপাশি এদিন পানিহাটি থেকেই রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হওযার পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “হাত জোর করে অনুরোধ করব, ভয় পাবেন না, আমরা এখনও বেঁচে আছি। যারা বছরের পর বছর এ রাজ্যে আছেন, তাঁদের বাংলাদেশি বলে তাড়ানো হবে… এত সোজা নয়। বুকের রক্ত দিয়ে আপনাদের রক্ষা করব।” অভিষেকের হুঁশিয়ারি, “এসআইআর-এনআরসি করে যদি এরা যদি ১ টা লোককে বাদ দেন, ১ লক্ষ লোক কমিশন ঘেরাও করবে।”
দেখুন খবর:







