Sunday, June 1, 2025
Homeবিনোদনকলকাতায় টিনটিন নামাঙ্কিত ক্যাফেতে মহাসমারোহে জন্মদিন পালন

কলকাতায় টিনটিন নামাঙ্কিত ক্যাফেতে মহাসমারোহে জন্মদিন পালন

টিনটিনেকে বাংলায় আনার কথা প্রথম বলেছিলেন চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়

Follow Us :

সম্প্রতি লেক টেরাস রোডে ‘টিনটিন এন্ড দ্য ব্রাসেলস ক্লাব'(Tintin & The Brussel Club) ক্যাফেটেরিয়ায় পালন করা হলো বাঙালি তথা সারা পৃথিবীর অত্যন্ত জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র টিনটিনের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী (Tintin Birthday celebration)। কেক কেটে তার জন্মতিথি সেলিব্রেট করলেন টিনটিন ভক্তরা। সেই সঙ্গে উদ্যোক্তারা আয়োজন করেছিলেন টিনটিনকে নিয়ে এক ক্যুইজ কনটেস্ট। টিনটিন নামাঙ্কিত এই ক্যাফের দেওয়ালে যেমন রয়েছে সত্যজিৎ রায় এবং কবি নীরেন চক্রবর্তীর ছবি(Satyajit Ray and Nirendranath Chakravarty)। তেমনি বিভিন্ন দেওয়ালে টিনটিনের নানান ফ্রেমে বাঁধানো ছবি কিংবা আঁকা ছবি। টিনটিনেকে বাংলায় আনার কথা প্রথম বলেছিলেন চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়। তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা’ ছিলেন টিনটিনের ভক্ত।

রঞ্জিত মল্লিকের বাড়িতে টলি তারকাদের নির্মল আড্ডা – KolkataTV

টিনটিনকে বাংলায় আনার কথা প্রথম এই বিশ্ববন্দিত পরিচালকের মুখেই শোনা যায়। পরবর্তীকালে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রথম টিনটিন বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন।বেলজিয়াম শহরে ১৯০৭ সালে টিনটিনের স্রষ্টা হার্যের জন্ম হয়েছিল।জানা যায়, ছোটবেলায় তিনি ছিলেন একজন বয়স্কাউট। ছটপটে স্বভাবের হার্জকে বন্ধুরা ডাকত ‘ছোট্ট শেয়াল’ বলে।টিনটিন, তরুণ বেলজিয়ান সাংবাদিক। বয়স উনিশের মধ্যে। গোল মুখমণ্ডল। কপালের ওপর আঁচড়ে তোলা সোনালি চুল। তীক্ষ্ণবুদ্ধির অধিকারী। আত্মরক্ষা করতে সক্ষম। সৎ, ভদ্র এবং সহানুভূতিশীল। সে বিশ্বাস করে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমে। দ্রুত চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে যার মধ্যে। অন্যায়ের সঙ্গে যে কোনো আপোষ করে না।

এদিন অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন ‘শতবর্ষে হার্জের টিনটিন’ বইটির তরুণ লেখক অনিরুদ্ধ সরকার। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘শব্দ’ প্রকাশনা থেকে। কিছুদিন আগে এই ক্যাফেতেই অনিরুদ্ধার বইটি প্রকাশ পেয়েছিল। প্রসঙ্গত প্রখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক অলিভারর রাজ্যে যিনি দীর্ঘদিন ধরে টিনটিন নিয়ে গবেষণা করছেন তিনিও এই বইটি সম্পর্কে উৎসাহ দেখান।টিনটিনের জন্মদিনে দেখা গেল ক্যাফেতে একজন ক্যাপ্টেন হ্যাডকের বেশে।
ক্যাফের কর্ণধার বর্ণালী ঘোষ জানালেন যে তার পুত্র বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে থাকেন। তাদের পরিবার টিনটিনের অত্যন্ত ভক্ত। তাই বছর কয়েক আগে তারা টিনটিনের নামাঙ্কিত এই ক্যাফেটেরিয়া শুরু করেছেন। প্রতিবছর এখানে এই আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্রের জন্মদিন পালন করা হয়।

দেখুন আরও খবর:

RELATED ARTICLES

Most Popular