রবীন্দ্রগানে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সংগীতের প্রভাব কতটা সেটাই ছিল ‘গহীন সুরে’- দ্য মিউজিক্যাল সাগা অব টেগর ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ।গতকাল জি ডি বিড়লা সভাঘর এর এই সঙ্গীতানুষ্ঠানে শিল্পীরা ছিলেন শ্রাবণী সেন,প্রবুদ্ধ রাহা ও পৌলমী মজুমদার।
অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে ছিল রাগনির্ভর রবীন্দ্রগান।অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয়র্ধে যন্ত্রণানুসঙ্গ ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। অনুষ্ঠানকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল সৌমিত্র সেনগুপ্তর পিয়ানো। এছাড়া তবলা পরিবেশন করেছিলেন জয় নন্দী। কিবোর্ড এবং সরদে ছিলেন যথাক্রমে সুরজিৎ দাস ও কৌশিক মুখার্জি। এসরাজ পরিবেশন করেছেন দেবায়ন মজুমদার।
পৌলোমী মজুমদারের কথনে,’গহীন সুরে… সাত সুরে সৃষ্ট সঙ্গীতে যে তরঙ্গ তৈরি হয়, তা মানবদেহের প্রতিটি কোষের অনু-পরমাণুকে আন্দোলিত করে, প্রভাবিত করে। আনন্দ, দুঃখ, বেদনা, ভালবাসা যে কোনো অনুভূতিকে আন্দোলিত করে ।’ সংগীতশিল্পী প্রবুদ্ধ রাহার কথায়,’সংগীতস্রষ্টাদের একদম ওপরের সারিতে যার নাম, তিনি রবীন্দ্রনাথ ।। শুধুমাত্র সব ধরনের সঙ্গীতে জ্ঞান থাকাটাই যথেষ্ট নয়, সঙ্গীত চিন্তন এবং মননে পরিপূর্ণতা এলেই একজন চিরকালীন সঙ্গীত সৃষ্টি করতে পারেন যা মানুষের জীবনকে পরিপূর্ণ করে তোলে।’
শিল্পী শ্রাবনী সেন বলেছেন ‘ ধ্রুপদী সঙ্গীতের বিভিন্ন ধারা সহ সব ধরনের সঙ্গীতে রবীন্দ্রনাথের অবাধ বিচরণ তাঁকে শুধু ভারত নয়, বিশ্বের প্রথম সারির সঙ্গীত স্রষ্টা এবং চিন্তকদের মধ্যে স্থান করে দিয়েছে | আমাদের আজকের এই অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব ছিল যে পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সংগীত এর সাথে শাস্ত্রীয় সংগীতের মেলবন্ধন।’এই রবীন্দ্র-সংগীতালেখ্য অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিল ‘জিটা’।