তার কাজের খতিয়ান দেখলে দেখা যায় তিন বছরে হয়তো তিনি একটি ছবিতে কাজ করেছেন। তাকে বলিউডে মিস্টার পারফেকশন হিসেবেই সকলে স্বীকৃতি দেন। একসময় রোমান্টিক কমেডিয়ান হিরো হিসেবেও রূপোলি পর্দায় দাপট দেখিয়েছেন। আমির খান ‘তারে জামিন পর’ মানানোর সময় ভেবেছিলেন ডিসলেক্সিয়া নিয়ে ছবি কে দেখবে! কিন্তু গল্প শুনে তার ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। তাই আর অন্য কিছু ভাবেননি। পরে সেই ছবি ইতিহাস হয়ে গেছে। এবার আসতে চলেছে তার সিক্যুয়েলও। তার ছবি যে বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করে তা সকলেই জানে। ২০০৭ সালে এ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে অভিনয়ে ফিরেছেন আমির। অভিনয়ের পাশাপাশি এটি প্রযোজনাও করছেন। চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন।
বহু বছর ধরে তিনি ছবিতে কাজ করার জন্য কোন পারিশ্রমিক নেন না। আসলে ছবি যদি দর্শকরা পছন্দ করে তখনই তিনি ছবির লভ্যাংশ নেন। আমির বলেন, আমি একজন এন্টারটেইনার। আমার পারফরমেন্সের মাধ্যমে দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি যদি কিছু সামাজিক বার্তা দিতে পারি সেই চেষ্টা করি। পয়সা খরচা করে কেউ শুধু জ্ঞান শুনতে চায় না।
দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিনয় জীবনে আকস্মিকভাবে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে ছিলেন আমির খান ২০২২ সালে। প্রায় এক বছর পর আবার তিনি ফিরে আসেন।
পারিশ্রমিক না নিয়েও কেন তিনি ছবিতে অভিনয় করেন! সে প্রসঙ্গে তিনি আরো খরচা করে বলেন, বিনোদনমূলক এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য সবচেয়ে পুরনো পদ্ধতি আমি ব্যবহার করে থাকি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্বাধীনতা এখানে রয়েছে। তবে পুরনো এই পদ্ধতিটা যে কি তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি। চলচ্চিত্র নির্মাণের অর্থনীতি তিনি যথেষ্ট বোঝেন কারণ অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ছবি প্রযোজনা করেন। ২০০ কোটি টাকা বাজেটের একটি ছবিতে যদি একজন তারকাই মোটা অংকের পারিশ্রমিক নিয়ে নেন এবং তারপর ছবি যদি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।