ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে ১৫ মাসের যুদ্ধে ইতি। ইজরায়েল (Israel) ও হামাস (Hamas) এই যুদ্ধ বিরতিতে (Cease Fire) রাজি। এর মধ্যস্থতা করেছে কাতার (Qatar) ও আমেরিকা (US)। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিলথানি জানিয়েছেন, রবিবার থেকে ওই যুদ্ধ বিরতি শুরু হবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেন, এর ফলে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হবে। বন্দিরা পরিবারগুলির কাছে ফিরে যেতে পারবেন। এই বিষয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, চূড়ান্ত আলোচনা চলছে। বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছিন তিনি। গাজা ও ইজরায়েল দুই জায়গাতেই যুদ্ধ বিরতির উদযাপনের শুরু। তবে তারই মধ্যে জটিলতার খবর সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা এই যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে। যে প্রক্রিয়া এখনও বাকি রয়েছে। তবে এই বিষয়ে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অভিযোগ, হামাসের কারণেই এই যুদ্ধবিরতিতে জটিলতা। তবে এই যুদ্ধ বিরতি প্রক্রিয়া চলাকালীনও এদিনও এক বিমান হানায় গাজায় ৭০ জনের মৃত্যু।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল-হামাস যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তাতে গাজায় ৪৬ হাজার ৭০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রায় ২৩ লক্ষ বাসিন্দা ঘরছাড়া। এদিকে ইজরায়েল জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে তাদের ৯৪ জন বন্দি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আমেরিকায় কতিপয় ধনীর হাতে যাচ্ছে ক্ষমতা, বিদায়ী ভাষণে বললেন জো বাইডেন
জানা গিয়েছে, কাতার ও আমেরিকার মধ্যস্থতাকারীদের শর্তে রাজি হামাস ও ইজরায়েল। দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে হাজির হয় হামাসের প্রতিনিধিদল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনও চেষ্টা করেন এই যুদ্ধ বিরতির জন্য। চুক্তি অনুযায়ী তিন দফায় এই যুদ্ধবিরতি হবে বলে ঠিক হয়। ১০০ জন ইজরায়েলিকে বন্দি করে রেখেছে হামাসের যোদ্ধারা। ইজরায়েলও ১০ হাজার প্যালেস্তাইনের নাগরিককে বন্দি করে রেখেছে। বন্দি বিনিময়ই অন্যতম আলোচনার বিষয়।
দেখুন অন্য খবর: