কেরল: সদ্য বিয়ে হয়েছিল। স্বামী সঙ্গে সংসার শুরু করেছিলেন ১৯ বছরের তরুণী। কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন সইল না। ইংরেজি (English) বলা নিয়ে সমস্যা ছিল তাঁর। আর তাই নিয়ে উঠতে বসতে স্বামীর (Husband) কাছে গঞ্জনা শুনতে হত।
বিয়ের (Marriage) সাত মাসের মধ্যেই স্বামীর এই আচরণে ভিতরে ভিতরে গুমড়ে যেতে থাকেন সাহানা মুমতাজ (Sahana Mumtaz) । স্বামী নিত্যদিন অপমান (Insult) , কথায় কথায় সকলের সামনে ইংরেজি না জানা নিয়ে কথা আর সইতে পারছিলেন না তিনি সাহানা। চরম পদক্ষেপ নেন । কেরলের (kerala) মলপপুরমের ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয় সাহানার।
আরও পড়ুন: ১৩ ফেব্রুয়ারি গোধরা মামলায় শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯ বছরের সদ্যবিবাহিতা ওই তরুণী স্থানীয় এক কলেজে গণিতের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বছরের মে মাসে আব্দুল ওয়াহাব নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। আবু ধাবি একটি সংস্থায় কাজ করতেন আব্দুল। বিয়ের মাত্র ২২ দিনের মাথায় স্ত্রীকে কেরলে রেখে আবুধাবিতে চলে যান তিনি। সেখান থেকেও সেইভাবে যোগাযোগ করতেন না।
সাহানার পরিবারের অভিযোগ, ইংরেজিতে সেভাবে দক্ষতা ছিল না সাহানার। একদিক ইংরেজি অন্যদিকে গায়ের রং কালো থাকার জন্য শ্বশুরবাড়িতে নানাভাবে তাঁকে অপমানিত করা হত। স্বামী ও শাশুড়ি সাহানাকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন।
এই বছরের শুরু থেকেই সাহানার সঙ্গে আর ফোনেও কথা বলতেন না আব্দুল। এর পরেই আত্মহত্যার করেন ওই তরুণী। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আসল ঘটনা খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
দেখুন অন্য খবর: